শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে আবারও দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্তকে ১৪ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিলেন রাজাপক্ষে।
জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা।
তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপে সংকটের সমাধান হবে না।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের চলা ধর্মঘটের কারণে দোকানপাট, গণপরিবহণ বন্ধ হয়ে গেছে।
জনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতেই প্রেসিডেন্ট জরুরি আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ায় শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। এসব প্রতিবাদ কর্মসূচি মাঝে মাঝেই হিংস্র রূপ ধারণ করছে।
শুক্রবার রাজধানী কলম্বোতে দেশটির জাতীয় সংসদের কাছে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ টিয়ার শেল ছোড়ে। একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করতে গেলে টিয়ার শেল ছোড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
রাজাপক্ষে এর আগে ১ এপ্রিল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেও পাঁচ দিন পর তা প্রত্যাহার করেন। খাদ্য, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে হতাশ হয়ে বিক্ষোভকারীরা রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবি করছেন।
চলতি সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী আলি সাবরি স্বীকার করেছেন যে, দেশের আর্থিক রিজার্ভ শূন্যের কাছাকাছি। দেশটি জরুরি অর্থায়নের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে আবেদন করেছে।
সুত্র-সিএনএন
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]