নড়াইলের গন্ডব সেতু সংযোগ সড়কের অভাবে চালু হয়নি। শুধুমাত্র সেতুর সংযোগ সড়কের অভাবে দেড় বছর ধরে নড়াইলের গন্ডব সেতু চালু হয়নি। নড়াইল সদর ও লোহাগড়া উপজেলার লাখো মানুষ সেতুটির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মুল সেতুর কাজ দেড় বছর আগে সম্পন্ন হলেও এখনো সংযোগ সড়কটি হয়নি। বর্তমানে নতুন নকশা অনুযায়ী কাজ হবে বলে জানা গেছে। সেতুটি চালু হলে কাশিপুর, জয়পুর, শালনগর, নোয়াগ্রাম ও লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ব্যবসায়ী, কৃষিজীবী, ছাত্র, চাকরিজীবী, রোগীসহ সবধরনের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলা এলজিইডি বিভাগের অধীনে লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা-মানিকগঞ্জ সড়কের গন্ডব ঘাটে তুষখালী খালের ওপর ১৭৫ মি. দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে।
২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর এ কাজের মেয়াদ থাকলেও ঢিমে তালের কারণে কাজ শেষ হয় দেড় বছর আগে। পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণে বরাদ্দ হয় ১০ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। গোপালগঞ্জের পিপিএল-এনএকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সংযোগ সড়ক না হওয়ায় এ অঞ্চলের কমপক্ষে এক লাখ মানুষকে নড়াইল শহরে যেতে ২৯ কি.মি. এবং লোহাগড়া শহরে যেতে ১৩ কি.মি. পথ ঘুরতে হচ্ছে। সড়কটি নির্মিত হলে নড়াইলের মাত্র ১৫ কি.মি. ও লোহাগড়ার পথ হবে ৭ কি.মি.।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও উভয়পাশে সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয়নি। বর্তমান অবস্থায় মূল সেতুতে উঠতে ২০ ফুট খাড়া ঢালুর কারণে সক্ষমরা কোনো মতে ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে উঠছে।
স্থানীয় টেম্পো চালক রাসেল শেখ জানান, শুস্ক অবস্থায় ভ্যান, মোটরসাইকেল কোনো রকম ধাক্কায় উঠানো গেলেও হালকা বা ভারী যান সেতুতে উঠতে পারে না। এছাড়া বৃষ্টি হলে পায়ে হেঁটেও সেতুতে ওঠা যায় না।
কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা জানান, সেতুর সংযোগ সড়কের অভাবে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বর্ণনাতীত। জমির মালিকরা জমির ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে তাঁরা সংযোগ সড়কে বাঁধা দিয়েছে।
জমির মালিক কাশিপুর ইউপি সদস্য বাহিরপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম মোল্লা জানান, আমরা সেতু চালু হওয়ার পক্ষে। কিন্তু জমির ক্ষতিপূরণ পাওয়া তো দূরের কথা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো আশ্বাসও পাইনি।
এলজিইডির লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার বলেন, সেতুর দুই পাশে ১ শ ৫০ মিটার করে সংযোগ সড়ক হবে। বিদ্যমান নকশায় সেতুর উত্তরাংশের সংযোগ সড়কের মধ্যে কবরস্থান থাকায় এবং দক্ষিণ পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১টি দোকান ও কয়েকজন ব্যক্তির জমি থাকায় স্থানীয়রা বাঁধা দিয়েছেন। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি। তাই সংযোগ সড়কের নতুন নকশা অনুযায়ী কাজ হবে এবং সেটা পাশও হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]