সকালে টানা ১ স’প্ত াহ পান্তা ভাত খেলে যেসব উপকার পাবেন – বাঙালী মাত্রেই পান্তাভাত প্রেমী। পান্তাভাত খেয়ে দিবানিদ্রা দেয়নি এরকম বাঙালি হয়তো অনেক ক’ষ্টে খুঁজে পাওয়া যাবে। কাঁচালঙ্কা , পেঁয়াজ সহযোগে পান্তাভাত হল অমৃ’ত। আসলে পান্তাভাত হল সংরক্ষণের
একটি প’দ্ধতি। রাতের খাবারের জন্য রান্না করা ভাত বেঁচে গেলে সংরক্ষণের জন্য এই ভাতকে নির্দি’ষ্ট পরিমাণ পানি দিয়ে প্রায় এক রাত ডুবিয়ে রাখলেই তা পান্তায় পরিণত হয়। ভাত পুরোটাই শর্করা। ভাতে জল দিয়ে রাখলে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া বা ইস্ট এই শর্করা ভেঙ্গে ইথানল ও ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে। ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরির ফলে পান্তা ভাতের অম্লত্ব বেড়ে যায় (pH কমে) তখন পচনকারী ও অন্যান্য ক্ষ’তিকারক
ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ভাত ন’ষ্ট করতে পারে না। ১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে (১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর) ৭৩.৯১ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে থাকে মাত্র ৩.৪ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ১০০ গ্রাম পান্তাভাতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৩৯
মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৫০ মিলিগ্রাম; যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্র ২১ মিলিগ্রাম। এছাড়া পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে হয় ৩০৩ মিলিগ্রাম যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে সোডিয়াম থাকে ৪৭৫ মিলিগ্রাম।পান্তা ভাত ভিটামিন
বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস। পান্তাভাত শর্করাসমৃ”দ্ধ জলীয় খাবার।গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। জলীয় খাবার বলে শরীরের পানির অভাব মেটায় এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। পান্তা ভাত খেলে শরীর হালকা এবং কাজে বেশি শক্তি পাওয়া
যায়, কারণ এটি ফারমেন্টেড বা গাঁ’জানো খাবার। মানবদে’হের জন্য উপকারী বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতের মধ্যে বেড়ে ওঠে। পেটের রোগ ভালো হয়, কোষ্ঠব’দ্ধতা দূর হয় এবং শরীরে সজীবতা বিরাজ করে এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে। এ ভাতে পেটের পীড়া ভালো হয়, কোষ্ঠব’দ্ধতা দূর হয় এবং শরীরে সজীবতা বিরাজ করে। পাশাপাশি শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]