২০১৭ সালে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যাওয়া ১৮ জনের প্রতি পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিওটিসিকে এ অর্থ সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের শুনানির পর বুধবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন সন্দ্বীপের বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল হালিম। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ছিলেন এম জি মাহমুদ শাহীন ও বিআইডব্লিওটিসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুর রশিদ।
আইনজীবী আব্দুল হালিম বলেন, ওই ঘটনায় ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে ২০১৭ সালে রিট করেছিলেন জহিরুল ইসলাম। সেই রিটে রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আজকে দেয়া রায়ে ১৮ জনের প্রত্যেক পরিবারকে ৬০ দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিওটিসিকে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। দেরি হলে ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে ইন্টারেস্ট দিতে হবে।
২০১৭ সালে এপ্রিলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট থেকে প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সন্দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয়। সন্ধ্যায় জাহাজটি সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে পৌঁছায়। জাহাজ সরাসরি ঘাটে ভিড়তে না পারার কারণে ঘাটের কিছুটা দূরে জাহাজ থেকে যাত্রীরা প্রথমে নৌকায় ওঠেন।
এরপর সেই নৌকা যাত্রীদের ঘাটে নিয়ে যায়। এ রকম একটি নৌকা জাহাজ থেকে যাত্রী নিয়ে ঘাটে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড বাতাসে উল্টে যায়। পরে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হয়েছিল উল্টে যাওয়া নৌকায় ৪০ জন যাত্রী থাকতে পারেন। পরে এ ঘটনায় ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করে অভিযান সমাপ্ত করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]