কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ রাখতে দেশব্যাপী শরীরচর্চা সেবা পৌঁছে দিতে চান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান লিমন। করোনা রোগীদের সুস্থতার জন্য হাসপাতালের ওয়ার্ডে যেয়ে স্বেচ্ছায় বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম শেখাচ্ছেন। লিমন যবিপ্রবির ২০১৮-২০১৯ সেশনের এবং বিকেএসপির প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ফুসফুস অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কারণে আক্রান্তরা ঠিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারেন না । লিমনের ব্যায়ামগুলো মূলত ফুসফুসে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়াতে এবং অক্সিজেন ধরে রাখতে সহযোগিতা করে। লিমনের মতে এর ফলে দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং অক্সিজেনের ঘাটতি কমবে।
আজ ৩ জুলাই শনিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ৫৫ জন কর্মচারীকে এ ব্যায়াম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেন তিনি। এর মাধ্যমে রোগীদের নিয়মিত ব্যায়াম নিশ্চিত করা যাবে। সরকারি সহযোগিতা মিললে এই ৫৫ জনের মাধ্যমে সেবাটিকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত আছেন বিকেএসপির প্রাক্তন ও যবিপ্রবির এই শিক্ষার্থী।
জানতে চাইলে শিক্ষার্থী লিমন জানান, বড় ভাই কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীদের বিভিন্ন ব্যায়াম করতে বলেন। তারপর থেকেই করোনা পজিটিভ রোগীদের একাধিক ওয়ার্ডে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করি। এ ব্যায়ামগুলো মূলত ফুসফুসে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়াতে এবং অক্সিজেন ধরে রাখতে সহযোগিতা করে। এর ফলে দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং অক্সিজেনের ঘাটতি কমবে।
ব্যায়ামের চর্চা সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখানো সব ধরনের ব্যায়ামই দিনে দুইবার করতে হবে আর প্রতিবার অন্তত ৫-১০ বার করে একই ধরনের ব্যায়ামগুলোর পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এ পর্যন্ত রোগীদেরকে প্রায় ৬-৭ ধরনের ব্যায়াম শেখানো হয়ছে, তবে নিয়মিত চর্চার অভাবে ৩-৪ ধরনের বেশি ব্যায়াম মনে রাখতে পারেন না রোগীরা। ব্যায়ামগুলোর সঙ্গে কিছু নরমাল স্ট্রেচিং করানো হয়, যাতে রোগীদের মাংসপেশি রিলাক্স হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]