হাওরে বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ করা টাকা আওয়ামী লীগের নেতা ও আত্মীয়স্বজনরা ভাগাভাগি করে নেয়ার ফলে বন্যায় ফসল ডুবে কৃষকেরা সর্বস্বান্ত হয়েছে। একারণে ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের দাম।
সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কোথাও চাষি তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে কোন কাজই করছে না। সরকার ব্যস্ত নিজেদের আখের গোছাতে। যেখানে নিজস্ব মুনাফা হয়, নিজেদের পকেট ভরে সেই দিকেই সরকারের মনযোগ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কিন্তু কৃষির ওপর সরকার কখনোই মনযোগী নয় বলে অভিযোগ তার।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কৃষকদলের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওর অঞ্চল সরেজমিনে পরিদর্শন ও কৃষকদের দুর্দশার চিত্র দেখে এসেছেন। সরকারী দুর্নীতিরোধ, হাওরের কৃষকদের দুর্দশা লাঘব ও শস্য নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের কিছু সুপারিশ আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরছি।
১. হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। এই দুর্নীতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. বছর বছর বাঁধ নির্মাণ না করে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে তৈরিকৃত ব্লক ফেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
৩. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনাসুদে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. ঋণগ্রস্ত কৃষকের ঋণের সুদ মওকুফ এবং স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যন্ত ঋণের কিস্তি নেয়া বন্ধ করতে হবে।
৫. হাওর অঞ্চলে শস্যবীমা চালু করতে হবে।
৬. হাওর অঞ্চলের কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য গণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।
৭. দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]