"সাইকোলজিক্যাল ইন্টেনশন অতঃপর ডিভোর্স"
আজকাল যে হারে ডিভোর্স হচ্ছে তার পেছনে আমার একটা বিষয়কে বিশেষভাবে দায়ী মনে হচ্ছে।আর সেটা হলো-বিবাহ পূর্ব একাধিক রিলেশন এবং ব্রেক আপ।
আমরা একাধিক রিলেশন করি নিজের ইচ্ছায়।নিজের ইচ্ছায় ব্রেক আপও করি যেগুলো পরিবারের ইচ্ছে-অনিচ্ছের বাইরে।আর বারবার ব্রেক আপ হওয়ার কারনেই মানিয়ে না নেওয়ার সাইকোলজি তৈরি হয়ে যায়।এই ধরুন সামান্য একটা বিষয়ে গার্লফ্রেন্ডের সাথে অমত হলো আপনি হুট করে ব্রেক আপ করলেন।তৃতীয়জনের উপস্থিতিতে আপনি ঠান্ডা মাথায় সমাধান না করে ব্রেক আপের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। একটু ঝগড়া হলো হুট করেই রাগান্বিত অবস্থায় ব্রেক আপ করে দিলেন।
রিলেশনের প্রধান উপাদান স্যাক্রিফাইস আর কম্প্রোমাইজ সেটাই ভুলে যাই।আমিত্ব টা বড় হয়ে যায়।অপরজনের প্রতি রেস্পেক্ট টাই যেন নাই হয়ে যায়।প্রিয়জন কে জেতানোর জন্য নিজেকে হারিয়ে দিলে কি খুব ক্ষতি হয়! আর এমন একাধিক রিলেশন আর ব্রেক আপের জন্য আপনি পরিবার কিংবা অন্য কারোর কাছে জবাবদিহিতায় বাধ্য নন যার জন্য আপনার স্বৈর মনের প্রায়োরিটি বেশী।কিন্তু আগেকার দিনে রিলেশন ছিল কম।কেউ একটা রিলেশন করলে সেটাকে লাইলি মজনুর পর্যায়ে নিয়ে যেত।হয় শত বাধা কাটিয়ে বিয়ে করত নাহলে দুজন একসাথে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতো।এখানে লাইফে দ্বিতীয় কাউকের পাওয়ার সাইকোলজি তাদের কাজ করত না।মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা টা প্রবল ভাবে কাজ করত।
একটা বিয়ে হলেও শত প্রবলেম,বেকারত্ব, নির্যাতন,ঝগড়া সহ সবকিছু মানিয়ে চলতে হতো।তাদের সাইকোলজি কাজ করত যে বিয়ে যার সাথে কপালে ছিল তার সাথেই হইছে এখন সব মেনে সংসার করতে হবে।ডিভোর্সের কথা ভাবতই না।
আজকের সময়ে বিয়ের পরে অধিকাংশ কাপল শহরে চলে যায়।যদিও অ্যারেঞ্জ ম্যারিজ তারপর ও তারা থাকে গার্ডিয়ানের দৃষ্টির অগোচরে।একটা সামান্য বিষয়ে ঝগড়া হলো,তৃতীয়জনের একটু উপস্থিতি আসলো,একটা সিদ্ধান্তে দুজনের একমত হলোনা তাতেই একে অপর কে লাইফে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়।কেউ কারোর কাছে নত হতে চাইনা।এক চুল ছাড় দেওয়ার মানসিকতার ও বড্ড অভাব দেখা দেয়।
একাধিক রিলেশন ব্রেক আপের সাইকোলজি টা যেন এপ্লাই করা জরুরি মনে হয়।সামান্যতেই ডিভোর্স হয়ে যায়।দিনদিন যেন ডিভোর্সের সংখ্যা ভয়বহ আকারে বেড়েই চলেছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]