বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালী, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।
এরই মধ্যে সেখানকার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই অবস্থা আরও দুই থেকে তিন দিন থাকবে। যদি নিম্নচাপটি আরও গভীর ও ঘনীভূত হয় তাহলে বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে।
শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীতে। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ দশমিক ৮ মিলিমিটার। এরপর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, পূর্ণিমার জোয়ারে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার নিচু এলাকা ও চর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্লুইসগেট কাজ না করায় জোয়ারের পানি উঠেছে জেলা শহরেও।
বাগেরহাটেও শনিবার থেকে কখনো অঝোর ধারায়, কখনো থেমে থেমে, আবার কখনো গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নদ নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে জোয়ারের পানি।
জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনও। রোববার দুপুরের দিকে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ বনের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা।
মোংলায় থেমে থেমে বৃষ্টির সাথে বয়ে যাচ্ছে হালকা বাতাস। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরার সব ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ায় মেঘনার পানির উচ্চতা বেড়েছে। নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে। মাইকিং করে মানুষকেও সতর্ক করা হচ্ছে।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন, এই বৈরি আবহাওয়া আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ১ থেকে ২ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া এবং বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]