সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
দেশের একটি সংবদ্ধ চক্র (প্রশাসনিক এবং গোষ্ঠী) গ্রামের লোকদের চিকিৎসাহীন রাখতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের স্বাস্থ্য সেবাকে কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল করার চক্রান্তে নেমেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ডা: মো: শাহিনুর আলম বলেন, একটি সংবদ্ধ চক্র (প্রশাসনিক এবং গোষ্ঠী) স্বাস্থ্য বিভাগকে ধ্বংস ও বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ গরীব জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারগণ ১৯৭৯ সাল থেকে নিরলসভাবে সেবা কেন্দ্রগুলোতে বহির্বিভাগ সেবা ও ইমার্জেন্সি সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু দীর্ঘ ৪৫ বছর পার হওয়ার পরও এই চিকিৎসকদের পদোন্নতি, পেশাগত মান উন্নয়ন, উচ্চ শিক্ষা এবং ম্যার্টস ছাত্রদের কোর্স কারিকুলাম আধুনিকীকরণ ও যুগোপযোগী করার কোন লক্ষণ নেই। বরং সৈরাচারী সরকার ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকে কোন রকম চিকিৎসার জ্ঞানহীন সিএসসিপি নিয়োগ দিয়ে গ্রামীন জনগনের সাথে প্রতারনা করেছে। তদুপরি ম্যার্টস শিক্ষাব্যবস্থার বিলোপ করতে, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের শূণ্য পদে নিয়োগ না দিতে, তাদের যতে কোন রকম পেশাগত মানউন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ না হয় সে জন্য চক্রান্তকারীরা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অচল করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এটা গ্রামীন চিকিৎসা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অন্যান্য ডিপ্লোমাদের ন্যায় দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ। অতিশীঘ্র দশম গ্রেডে শূন্য পদগুলোতে ডিপোমা চিকিৎসকদের নিয়োগ দান, কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান বৃদ্ধি করতে সাড়ে ৪ বছরের মেডিকেল ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদের নিয়োগ প্রদান সহ চার দফা দাবি পেশ করেন।
ডা: মো: শাহিনুর আলম আরো বলেন, দীর্ঘ ৪৫ বছরের কম-বেশি সময় থেকে আমরা এ দাবী-দাওয়া গুলো নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেই। জুলাই আগষ্টের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সফল পরিনতিতে ডিপোমা চিকিৎসকদের দীর্ঘ ৪৫ বছরের বৈষম্যের অবসান হওয়ার স্বপ্নে আমরা আন্দোলন কবে যাচ্ছি। সরকার কথা দিয়েছিলো ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন করবে। কিন্তু কথা রাখে নাই। উল্টো গ্রেজুয়েট চিকিৎসকগণ হুমকি দিয়েছে। এসব ঘটনায় আমরা শংকিত এবং আতঙ্কিত। আমরা আজ চরমভাবে বঞ্চিত, অপমানিত এবং তথ্য সন্ত্রাসের শিকার।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি না মানলে পরিস্থিতির অবনতির দায় কর্তৃপক্ষ এবং গ্রেজুয়েট চিকিৎসকদের নিতে হবে। কুটকৌশল চলতে থাকলে আপামর জনসাধারণ আপনাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কৌশলে পকেট ভারী করার গোপন ষড়যন্ত্র, গরীব মানুষের চিকিৎসার ব্যায় বাড়ানো এবং রোগীদের বিদেশমুখী করা চক্রান্ত কোন ভাবেই সফল হতে দিব না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, ডা এ কে এম মশিউর রহমান, খাইরুল ইসলাম মুকুল, মাসুদ রেজা, প্রভাকর মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]