সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটায় রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা দেওয়ার পরও তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী কর্তৃক মারপিট করে উল্টো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে দেবহাটা উপজেলার আজিজপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে নজরুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, দেবহাটার আজিজপুর গ্রামে আমার শশুর আকবর আলী গাজীর বাড়ির দক্ষিণ পাশে মৃত দারবক্স সরদারের ছেলে গোলাম রসুলের বাড়ি। কিন্তু গোলাম রসুলের যাতায়াতের কোন রাস্তা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। একপর্যায়ে কোন শর্ত ছাড়াই মানবিক কারনে আমার শশুর তাদের যাতায়াতের জন্য নিজের রেকর্ডীয় সম্পত্তি থেকে এক শতকের উপর জমি ছেড়ে দিয়ে রাস্তা করে দেন। কিন্তু এতেও তারা খুশি না হয়ে আরো তিনহাত জমি দাবি করেন। কিন্তু সেখানে শশুরের মাত্র ৭ শতক থাকায় তার পক্ষে আর ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। এনিয়ে উল্লেখিত গোলাম রসুলও তার সহযোগিরা শশুরকে হয়রানি করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৫ নভেম্বর গাছের ডালকাটা নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ের গোলাম রসূলের নেতৃত্বে তার ছেলে ছাকিব হাসান, ভাইয়ের ইন্নাছ সরদার, স্ত্রী আছমা খাতুন, বোন আনঞ্জুয়ারা খাতুনসহ ১০/১২ জন আমার শশুর আকবর আলী, শাশুড়ী রাশিদা খাতুন, আমার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন, শালিকা মাসকুরা খাতুনকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে গোলাম রসূলগং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে করে চলে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসা নিতে গেলেও গোলাম রসূলের সহযোগিরা বাধা সৃষ্টি করে। তিনি আরো বলেন, এঘটনার পর গোলাম রসূল৷ জনৈক প্রভাবশালীর সহযোগিতায় মিথ্যা কল্প কাহিনী সাজিয়ে উল্টো আমার শশুরসহ তার পরিবারের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আমাকে এবং ফজলেম নামের এক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। অথচ ঘটনার সময় আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, দেবহাটা থানা পুলিশ প্রকার তদন্তছাড়াই ওই মিথ্যা মামলা রেকর্ড করে। ফ্যাস্টিট আমলে যেভাবে পুলিশ তদন্ত ছাড়াই ইচ্ছামত মামলা রেকর্ড করতো, এখনও যদি তাই করতে থাকে তাহলে আমাদের মত অসহায় নিরীহ মানুষ ন্যায় বিচার কোথায় পাবে? ইতোমধ্যে এই মিথ্যে মামলার আসামী ফজলেম মিস্ত্রি ও মাসকুরাকে গ্রেফতার করে। ফজলেম মিস্ত্রির সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক না থাকলেও প্রতিবেশী হওয়ায় তাকেও আসামী করা হয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
তিনি ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক ন্যায় বিচার পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]