সাতক্ষীরায় দুর্ঘটনাকে পুজি করে অর্থ দাবি ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
সাতক্ষীরা সদরের তালতলা মাগুরা গ্রামে সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অর্থ দাবি ও হেয়প্রতিপন্নের প্রতিবাদে মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা।
দুর্ঘটনাকে পুজি করে অর্থ দাবি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তালতলা ঈদগাহ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে এলাকাবাসীর আয়োজনে ওই এলাকার মাগুরা গ্রামের আশরাফ আলী বিশ্বাসের ছেলে আহসানউল্লাহ ও হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে সহস্রাধিক গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় কামরুল ইসলাম, যশোর আলী, আতিয়ার রহমান, নূর ইসলাম, গাজী রহমানসহ আরও অনেকে। এসময় তারা বলেন, গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় তালতলা সিএন্ডবি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পরবর্তী সময়ে আলিপুর এলাকার শ্রী সুভাষের মটরসাইকেলে আচমকা পড়ে যেয়ে আশরাফ আলী আঘাতপ্রাপ্ত হন। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসায় আশরাফ আলী সুস্থ হন।
এ ঘটনায় ওই মোটরসাইকেল চালকের কোন দোষ না থাকলেও আশরাফের চিকিৎসাবাবদ সে ৫ হাজার টাকা দেয়। মটরসাইকেল চালকের সাথে মটরসাইকেলে আর দ্বিতীয় কেউ ছিলোনা। তবে আশরাফের মাদকাসক্ত ছেলে আহসানউল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। আর, এতে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে ওই মটরসাইকেল চালকসহ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন আশরাফের ছেলেরা।
আশরাফের ছেলেরা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মৃত আকবর আলী দফাদারের ছেলে মিজানুর রহমান ও একই এলাকার বৈদ্যনাথের ছেলে শ্রী সুভাষ মটরসাইকেল চাপা দিয়ে তাদের বাবা আশরাফকে হত্যার চেষ্টা করে। আর এঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতা রয়েছে।’ অথচ, মিজানুর রহমানের এবং শ্রী সুভাষের সাথে আশরাফ সহ তার পুত্রদের কোন পরিচয় নেই, নাইবা কেউ কাউকে চেনে। অথচ এঘটনায় মিজানুর, সুভাষসহ স্থানীয়দের জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আশরাফের ছেলেরা।
মানববন্ধনে তারা আশরাফ আলী বিশ্বাসের ছেলে আহসানউল্লাহ ও হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা দুই সহদর নারীলোভী ও মাদকাসক্ত। তাদের ঘৃর্ণীত কর্মকান্ডের কারনে কয়েক বছর আগে, তাদের নিজ জন্মভূমি কলারোয়ার কেড়াগাছি ইউনিয়ন থেকে তাদের বিতাড়িত করেন ওই এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসী। এরপর থেকে তারা আশ্রয় নেয় শহরতলীর তালতলার দাইপাড়া এলাকায়।
তবে তারা এখানে বসবাসের শুরু থেকে বিভিন্নভাবে গ্রামবাসীকে হয়রানী করেছে চলেছে। এ সংক্রান্ত কারনে বহুবার জেলহাজত খেটেছে তারা। এছাড়া ইতিপূর্বে এই ধরণের দুর্ঘটনাকে পুজি করে নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করেছে আহসানউল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাদের নামে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে প্রতারণার জন্য তারা কয়েকবার হাজতও খেটেছে। এসময় বিষয়টা তদন্তপূর্বক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান বক্তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজিবুল হক টুটুল উপস্থিত হয়ে মানববন্ধনে বলেন, আশরাফের দুই পুত্রের এহেন কাজের জন্য আমরা চরম লজ্বিত এবং আতঙ্কগ্রস্থ। কোনোকিছু হলেই তারা মামলার ভয় দেখায়। তারা দুইভাব মাদকাসক্ত। তাই এহেন কাজের জন্য অবশ্যই আইনের আওতায় এনে সামাজিকভাবে এলাকাবাসী সহ যাদের নামে সংবাদ প্রকাশ করে সম্মানহীন করেছে তার সুষ্ঠু বিচার হোক সেটাই প্রত্যাশা করি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)