সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরায় দেশের প্রথম ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধ

ফারুক রহমান, সাতক্ষীরা: শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠান হয়েছে।

শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি ও প্রথম আলো বন্ধু সভার আয়োজনে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসানের সভাপতিত্বে ও প্রথম আলো বন্ধু সভার সভাপতি কর্ন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাদব চন্দ্র দত্ত, ডিবিসির বেলাল হোসেন।

বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আবদুস সামাদ, প্রথম আলো বন্ধু সভার দপ্তর সম্পাদক তারিক ইসলাম, আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সচ্চিদানন্দ দে সদয় প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান। তিনি জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৩০ সালে নানার বাড়ি বুধহাটা গ্রামে আনোয়ার হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল কনুই গাজী ও মায়ের নাম পরীজান বিবি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ছিল সবার বড়।

মেধাবী আনোয়ার হোসেন বাড়ি সংলগ্ন বুধহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। এর পর বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার একপর্যায়ে তিনি খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৬ সালে এসএসসি পাস করেন।

পরে খুলনার বিএল কলেজে পড়াশুনাকালীন ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। তরুণ আনোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদিস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি মুক্তি পান।

পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে প্রথমে তাকে কোতয়ালী থানায় রাখা হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে।

সেখানে পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন তিনি। একপর্যায়ে ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালানো হয়। তাতে সাতজন কারাবন্দি নিহত হন। তার মধ্যে ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন ছিলেন অন্যতম। তাই আমরা বিশ্বাস করি মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন দেশের প্রথম শহীদ। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে তার কোন স্বীকৃতি নেই। তাই আমাদের দাবি শহীদ আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান।

বক্তারা প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সাতক্ষীরা জেলা সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আনোয়ার হোসেনের নামে সরকারিভাবে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও প্রতিষ্ঠান শহীদ আনোয়ার হোসেনের নামে নামকরণ, অবিলম্বে তাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মরণোত্তর একুশে পদক্ষে ভূষিত করার দাবি জানন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

গর্ভবতী-সন্তানসহ নারীরাও গুমের শিকার হয়েছিলেন : গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন

তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে ভয়ংকর সব তথ্য পেয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্তবিস্তারিত পড়ুন

বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান

বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন কর্মসূচির প্রথম দিনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ওবিস্তারিত পড়ুন

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: সিইসি

এই কমিশন রঙবিহীন, চেহারাহীন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেবিস্তারিত পড়ুন

  • পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক
  • সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ব্যবহারের অনুমতি পেলো বিজিবি
  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সেই ১৯৩ জনের ফল স্থগিত
  • ফের রিমান্ডে সালমান আনিসুল ইনু মেনন মামুন
  • রাজনৈতিক ক্ষমতা-কালোটাকা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে: গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনপ্রধান
  • শহীদ জিয়া দেশের মানুষের জন্য বাতিঘর : সাবেক এমপি হাবিব
  • সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তে জব্দ করা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস
  • সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বাসায় দুদকের অভিযান, ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষ, বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশিকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা
  • অসহায় ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কম্বল বিতরণ
  • সাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভূমি সংক্রান্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
  • ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে তুমুল উদ্দীপনা