সাতক্ষীরায় অপহরণের পর ধর্ষণ করে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে নুরুল আমিন নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম. জি.আযম এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণাকালে আসামী নুরুল আমিন পলাতক ছিলনে।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত নুরুল আমিন কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে।মামলার বিবরণে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলা গয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে নুরুল আমিন একই এলাকার আব্দুল জলিল, খলিল, রুহুল আমিন, খায়রুল, রিপনদের সহায়তায় ২০১২ সালের (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড় ৬ টার দিকে একই গ্রামের গোলাম রসুলের কন্যা জি. আর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ খাদিজা খাতুন ওরফে রিমাকে বাড়ির সামনে হতে অপহরণ করে ধর্ষণ করলে ভিকটিম সন্তান সম্ভবা হয়।
যে কারনে ২০১২ সালের (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে ভিকটিমকে পৌড়াইয়া হত্যা করিয়া কলারোয়ার হিজলদী গ্রামের শিশুতলা বিজিবি চেকপোস্টের পাশে বাঁশঝাড়ের ভিতর পলিথিন দিয়া মোড়ানো অবস্থায় ফেলে রেখে যায় নুরুল আমিন। এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা গোলাম রসুল বাদি হয়ে ২০১২ সালের (৮ এপ্রিল) কলারোয়া থানায় মূল আসামী নুরুল আমিনসহ আবদুল জলিল, খলিল, রুহুল আমিন খায়রুল ও রিপনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে সাক্ষ্য, প্রমাণ ও নথি পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রমাণিত হওয়ায় নুরুল আমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড,১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি আসামিদে নথি পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রমাণিত না হওয়ায় উক্ত অপরাধের দায় হতে তাদের খালাস প্রদান করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]