সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকাতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উদ্ভাবিত বারি-১৪ ও ১৭ জাতের সরিষা ব্যাপক ভাবে চাষ হয়েছে। স্থানীয় জাতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন ফলন সম্ভব বারি-১৪ বা ১৭ জাতের সরিষা। স্থানীয় টরি-৭ জাতের বিঘাতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মন পর্যন্ত উৎপাদন হয়। সেখানে বারি-১৪ ও ১৭ বিঘাতে ৬ থেকে সাড়ে ৬ মন পর্যন্ত সম্ভব বলে জানান কৃষি বিজ্ঞানিরা।
জেলার দেবহাটা অঞ্চলে ক্ষেতে সরিষার যে ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে বাম্পার উৎপাদনের আশা করছেন কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খাশখামার ও বহেরা এলাকায় সরিষা মাঠদিবস অনুষ্টান পরিদর্শন করতে এসে সরেজমিনে সরিষা ক্ষেত দেখে সন্তোষ্ট প্রকাশ করেন কৃষি বিজ্ঞানিরা।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট খুলনা বিভাগীয় প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনার রশিদ উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি সুস্থ্য থাকতে চান তাহলে সয়াবিন বাদ দিয়ে সরিষা তেল ব্যবহার করুন। কারন সরিষাতে রয়েছে পর্যাপ্ত রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা। সরিষা তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে হার্টের ঝুকি থাকে না, ডায়বেটিসসহ অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রনে থাকে। তাছাড়া সরিষা চাষেও ভালো লাভবান হওয়া যায়। অন্যদিকে সরিষা উত্তোলন করেই তাকে বোরো চাষ করতে পারছেন কৃষক। ফলে আমন-বোরোর মাঝামাঝি সময়ে সরিষা আবাদ করে কৃষক লাভবান হচ্ছে।
দেবহাটা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মো. তিতুমীরের সভাপতিত্বে উক্ত মাঠদিবস অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিপ্তরের কৃষি প্রশিক্ষন কর্মকর্তা এস.এম খালিদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট সাতক্ষীরা বিনেরপোতাস্থ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফকির অলি আহমেদ প্রমুখ। এসময় স্থানীয় দুই থেকে তিন শত কৃষক উপস্থিত হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]