সাতক্ষীরা পৌরসভায় মেয়রের চেয়ার দখলের চেষ্টা করেছে বরখাস্ত হওয়া মেয়র। বুধবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পৌরসভা ত্যাগ করেন বরখাস্ত হওয়া মেয়ের তাসকিন আহমেদ চিশতি।
জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে হাজতে থাকায় মেয়ের চিশতীকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একই সাথে প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে।
স্বাক্ষরিত ওই পত্রে বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ এর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় মামলা থাকায় সে জেল হাজতে রয়েছে । এছাড়া তাকে মেয়র এর পদ হতে অপসারণের কার্যক্রম শুরু হওয়ায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং ৪৬.00.0000.063.27.27.22.231 তারিখ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মূলে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এমতাবস্থায়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪০(২) অনুযায়ী সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জনাব কাজী ফিরোজ হাসান কে উক্ত পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বসহ আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো। পরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ বরকত হওয়া মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি কে জামিনে মুক্তি দেন।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমি মেয়ের পদে বহাল থাকব।
তিনি বলেন, বরখাস্ত হওয়া মেয়ের তাসকিন আহমেদ চিশতি মন্ত্রণয়ের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন। হাইকোর্ট তাকে স্বপদে ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করছেন। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে পুনঃ বহাল করেনি।
ফিরোজ হাসান বলেন আজ তাজকিন আহমেদ ২০-২৫ জন বহিরাগত লোক নিয়ে পৌরসভার আসেন মেয়রের চেয়ার দখল করে যোগদান করতে। একপর্যায়ে তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালালে তাঁকে বাইরে যেতে বলা হয়। এছাড়া পৌর সভার কাজে বাধাগ্রস্ত করায় তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিমউদ্দিন বলেন, একজন আইনজীবীর চিঠির অনুলিপি দিয়ে তিনি যোগদান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের আদেশের আনুষ্ঠানিক কপি ছাড়া তাঁর যোগদান করার সুযোগ নেই।
বরখাস্ত হওয়া মেয়ের তাজকিন আহমেদ চিশতী জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমানে মেয়র পদে তার দ্বায়িত্ব বুঝে নিতে কোন বাধা নেই। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও সরকারদলীয় কর্মকর্তারা আদালতের সেই নির্দেশ লঙ্ঘন করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ এর সাতক্ষীরা শাখার উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস জানান, নিয়ম অনুযায়ি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আদেশ তার অফিসের মাধ্যমে তাদের প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে পূণরায় চিঠি আসার পরই মেয়র দায়িত্ব বুঝে নিতে পারবেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]