জি.এম আবুল হোসাইন : ‘করব বীমা গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’–এই প্রতিপাদ্যে বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বুধবার (১ মার্চ) সমগ্র দেশে টানা ৫ম বারের মতো উৎযাপিত হয়েছে জাতীয় বীমা দিবস।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতি বছর দেশজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। বরাবরের মতো এ বছরেও দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন, সাতক্ষীরা।
সরকারি প্রতিষ্ঠান "জীবন বীমা কর্পোরেশন" সহ সাতক্ষীরায় কর্মরত বে-সরকারি বীমা কোম্পানির সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি নিউ মার্কেট থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসটির কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সরোয়ার হোসেন।
এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সরোয়ার হোসেন।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস.এম আকাশ ও নুসরাত জাহান অনন্যা সহ বিভিন্ন বীমা কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ।
সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস.এম আকাশ বীমা শিল্পের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সাধারণ মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কথাই ভাবেননি; ভেবেছেন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও। আর তাই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি বীমা খাত সংস্কারে হাত দেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারের মাধ্যমে তিনি ৪৯টি বীমা কোম্পানিকে একীভূত করে গঠন করেন তিস্তা, কর্ণফুলী, রূপসা ও সুরমা এই ৪টি কর্পোরেশন। এরপর ১৯৭৩ সালে পাস করেন বীমা কর্পোরেশন আইন। গঠন করেন জীবন বীমা করপোরেশন এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন নামে ২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সংস্থা দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এই অবদান জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার।
বঙ্গবন্ধু বীমা খাতের সাথে যেভাবে জড়িত, অর্থনীতির আর কোন খাতের সাথে তার এতো বেশি সম্পৃক্ততা । বঙ্গবন্ধু বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জীবন বীমা কর্পোরেশনের সাতক্ষীরা কর্পোরেট অফিসের ম্যানেজার ইনচার্জ শেখ রেফাজুর রহমান, মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর মোড়ল কামরুজ্জামান, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর আ.দ.ম মাহাবুবুর রহমান, রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর গংগাধর দফাদার, এনআরবি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর মো. হযরত আলী, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স যশোর এর কাজী আব্দুর রহমান ফিরোজ প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর সমন্বয়ক মো. কবিরুল ইসলাম।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]