প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৩:৫৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ৩০, ২০২৩, ৮:১৮ অপরাহ্ণ
সাতক্ষীরায় শিশু পাচার প্রতিরোধে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা
সাতক্ষীরায় শিশু পাচার প্রতিরোধে প্রকল্প অবিহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. নাসির উদ্দিন ফরাজী, জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আশীষ কুমার মন্ডল, সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান, কলারোয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার।
স্বাগত বক্তব্যে রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে রাইটস যশোর মানবধিকার সংরক্ষনে কাজ করে যাচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানব পাচার প্রতিরোধে বিশেষ করে শিশু পাচার প্রতিরোধ, পাচার থেকে উদ্ধার কার্যক্রম এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা এবং পূর্ণবাসনের কাজ করে যাচ্ছে। পাশিপাশি বাল্যবিবাবহ প্রতিরোধেও একটি বড় ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাইটস যশোরের বাস্তবায়নে, একপাট-লুক্সেমবার্গ এর কাারিগরি সহযোগিতায়, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট-এর অর্থায়নে মুক্তি সাউথ এশিয়া প্রকল্প যশোর এবং সাতক্ষীরা জেলায় বাস্তবায়ন হতে চলেছে।এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্প অবিহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশসহ ইন্ডিয়া এবং নেপালে এপ্রিল ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয়ে মার্চ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পের মুল কার্যক্রম শিশু পাচার ও শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ, উদ্ধার ও প্রত্যাবাসন করা এবং শিশু পাচার ও শিশুর বিপদাপন্নতা হ্রাস।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শিশু শিকার ফাঁদে ফেলতে এখন নানাভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে নতুন উপায় হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। একসময় সরাসরি বা পরিচিতদের মাধ্যমে মানুষদের বিদেশে চাকরির লোভ দেখিয়ে পাচারের চেষ্টা করা হলেও এখন সেই স্থান দখল করে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ বেশি হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী প্রতারিত হলেও মূল আসামীরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে অথবা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে মানব পাচারের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার বেড়েছে। বিশেষ করে ফেসবুক, টিকটক, ইমোসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমান সমাজে অনলাইন প্লাট ফরম হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ফেসবুক ব্যবহার করে মানব পাচারের ক্ষেত্রে একটি কুচক্রী মহল কাজ করে যাচ্ছে যা বর্তমানে যুব সমাজকে ধংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা আমরা যারা সমাজে বিভিন্ন ধরনের সচেতন ব্যক্তি আছি সকলকে এই বিষয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হতে হবে। মানব পাচার সর্ম্পকে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে, বিদেশ যেতে কারোর কোন নিষেধ নেই, আমরা বলছি বিদেশ যাবেন, তবে বৈধ পথে জেনে বুঝে যাবেন তাহলে কোন সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে না। তিনি আরো বলেন ইউনিয়ন ভিত্তিক বেশি বেশি জনসচেতনতামুলক কার্যক্রম করে সাধারণ মানুষকে আরো সচেতন করতে হবে, তাহলে এলাকার জনগনকে এই বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে পারবে। তিনি সকলকে আরো জোরদার কন্ঠে আহবান করে বলেন যে, আমরা যারা বিদেশ যেতে চাই তারা যেন দক্ষ হয়ে বিদেশ যাই তাহলে আমাদের মঙ্গল হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]
Copyright © 2024 কলারোয়া নিউজ. All rights reserved.