সাতক্ষীরায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, সাতক্ষীরা সদর থানার অস্তগত পাথরঘাটা গ্রামের আবুল কালাম এর ছেলে আব্দুল সালাম।
আব্দুস সালাম পেশায় একজন সাংবাদিক। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এ,কে,এম আবুল কাশেম (৪৫) কর্তৃক অত্র বিদ্যালয়ে ভবন তৈরির নিমিত্তে কর্তনকৃত মাটি ড্রাম ট্রাক যোগে রাতের আধারে অন্যাত্রে বিক্রি করার দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণ করে।
ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ইং ০৫-০৬-২৪ তারিখ বুধবার সকাল আনুমানিক ০৯ টা ১৩ মিনিট সময় বিবাদী আবুল কাশেম তার মুঠোফোন থেকে সাংবাদিক আব্দুস সালাম কে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে কল কেটে দেয়।
একই দিন বেলা আনুমানিক ১০ টার সময় বিবাদী আবুল কাশেম দলবদ্ধ হয়ে অজ্ঞাত নামা আরও ২/৩ জন কে সঙ্গে নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। এ সময় আব্দুস সালাম কে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী বিলকিস খাতুন (৩০) কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার এক পর্যায় তাকে মারধর করার জন্য উদ্ধত হয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করেন।
হুমকির একপর্যায় সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা ভিডিও ফুটেজ উঠিয়ে না নিলে বিভিন্ন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি এমনকি বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে বলে আস্ফালন করে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। এদিকে ঝাউডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম এলাকার সহজ সরল লোকদের সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে একাধিক দূর্নীতির অভিযোগ আছে বলে এ দাবি করেন ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম।
এ ঘটনায় আব্দুস সালাম গত ৫ জুন বুধবার সাতক্ষীরা সদর থানায় ঝাউডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এ, কে,এম আবুল কাশেম সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয় জানতে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিদুল ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]