সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনিতে নুসরাত জাহান রাহি নামের কন্যা শিশুকে হত্যা মামলায় প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে আশাশুনির আগরদাড়ি গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম রেজাউল ইসলাম জনি (২৩) সে আগরদাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
আর নিহত নুসরাত জাহান রাহি ৯ একই গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ও আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।সম্পর্কে জনি রাহির প্রতিবেশী চাচা।
গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, জনি ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরী করতো। ৯ মাস আগে সে বিয়ে করে।বিয়ের পরে মাস চারেক আগে সে চাকরি হারায়। এতে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে জনি।গ্রামের বাড়িতে এসে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।মাদকের টাকা জোগাড় করতে সে রাহির কানে থাকা সোনার দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চিন্তা করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান,শনিবার সকালে রাহি তার বান্ধবী মিতা বসুর সাথে খেলা করছিল। জনি রাহিকে খাবার কিনে দেওযার কথা বলে নির্জন হলুদ ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে রাহির কানে থাকা সোনার দুল জোর করে খুলে নেয়। রাহি এঘটনা বাবা-মাকে জানানোর হুমকি দিলে সে রাহিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।রাহির মরদেহ গুম করতে তার গেঞ্জি ছিড়ে হাত-পা বেঁধে পাশে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয় জনি । দুপুরের পরে সে ছিনিয়ে নেওয়া কানের দুল বুধহাটা বাজারের পলাশ জুয়েলার্সে ৯ হাজার টাকায় বেচে দেয়।
প্রসঙ্গত,শনিবার দুপুরে আশাশুনির আগরদাড়ি গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশু কন্যা রাহির হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় রাহির বাবা রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]