সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় ছোট-বড় মিলে মোট ৬২৯টি আম বাগানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়, উপজেলায় এবার মোট ৫২৭ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এছাড়াও ছোট-বড় অসংখ্য বাগান ব্যক্তি উদ্যোগে নিজ নিজ আম চাষ করেছেন স্থানীয় বার্গা চাষিরা।
ইতিপূর্বে আম চাষ বাজারজাতকরণ ক্যালেন্ডার বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা: বুশরা এর সভাপতিত্বে আম ও বাজারজাত করতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সংগতি রেখে আগত আম কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীদের সাথে মত বিনিময় ও আমের সঠিকতা যাচাই ও পাকা আম পরীক্ষা করেন সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা।
গত (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে একসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা করবে। ওয়াসিম উদ্দিন। সভায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা কর্তৃক সিদ্ধান্তের আত্মত্মতা প্রকাশ করে বাজারজাতকরণ আম ক্যালেন্ডার জানানো হয়।
১২ মে তারিখ থেকে গোপাল গোবিন্দ ভোগ, বোম্বাই, গোলাপ খাস, বৈশাখী সহ স্থানীয় জাতের আম পড়া যাবে। ২৫ মে ২০২৩ থেকে হিমসাগর আম ও ১ জুন ২০২৩ থেকে ল্যাংড়া আম ও ১৫ জুন ২০২৩ থেকে আম্রপলি আম বাজারজাতকরণের জন্য আমপাড়া হবে।
আমের জাত আম সংগ্রহের তারিখ জানানো পর যে সমস্ত আম ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ক আম পেড়ে বাজারজাত করবে এবং ক্রেতা সাধারণের সাথে প্রতারণা করবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা জানান।
এছাড়া আম ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক সচেতন সৃষ্টির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ও আম ব্যবসায়ীদের এলাকাভিত্তিক ইউনিয়ন পরিষদের মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, দেশের বাজারে আগে থেকেই সুনাম রয়েছে কালিগঞ্জ উপজেলা সহ সাতক্ষীরার আমের। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে সাতক্ষীরার আমের সুনাম ও চাহিদা ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেও। মাটি ও আবহাওয়াজনিত কারণে সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। স্বাদে, গুণে অনন্য হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরেই সাতক্ষীরার আম রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। জেলার গোবিন্দভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি আম রপ্তানি হয় ইতালি, জার্মানী, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে।
কালিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়ার কৃষি অফিসার ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, এবার কালিগঞ্জ উপজেলায় বাম্পার হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোতে আম রপ্তানির জন্য আন্ডার প্রসেসিং চলমান আছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, গাছ থেকে পরিপক আম ভাঙার জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে আম পেড়ে কার্বাইড দিয়ে বাজারজাত করণের চেষ্টা করলে আম বিনষ্টসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপরিপক আম বাজারজাতকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। আমের মৌসুমজুড়ে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]