নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরে কাশেমপুর গ্রামে মোঃ আব্দুল রহমানের ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক ভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মোঃ গোলাম রসুল,আব্দুল গফুর,কবির হোসেন ও হোসনেআরার বিরুদ্ধে। সাতক্ষীরা সদরের ৯৩ নং কাশেমপুর মৌজার সাবেক ৮০৭ নং দাগের জমির সীমানা নিয়ে দির্ঘদিন বিরোধ চলছে।
ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল রহমান ১০নং আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান বরবর একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আমি মোঃ আব্দুল রহমান আমি অভিযোগ করিতেছি যে, বিবাদীরা আমার প্রতিবেশি আমার এবং বিবাদীদেও একই মৌজায় বসবাস। বিবাদীদের বাড়ী থেকে বের হওয়ার পথ না থাকায় আমি আমার ফসলী জমি থেকে আপোষ করিয়া বিবাদীর বাড়ি যাওয়ার পথ দেই এবং বিবাদীদের কাছ থেকে একই দাগে পিছন থেকে আমার জমি দেয় যার লিখিত আছে। বিবাদীরা আমার জমি দখলে এসে পাকা রাস্তা তৈরি করে যাতয়াত করে কিন্তু আমার আপোষকৃত জায়গা ভোগদখল দেয় না।আমি উক্ত জায়গা দখল করিতে গেলে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর আমার বাড়িতে এসে হত্যা করার উদ্দোশ্যে লোক ভাড়া করে নিয়ে এসে আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা করে। তারা তখন বলে ঐ জমি দখল করিতে গেলে মার্ডার করে দেব। যেহেতু আপোষকৃত জমি আমাকে ভোগ দখল করিতে দেয় না সেহেতু আমিও আমার জমি তাহাদেও ব্যবহার করিতে দেব না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল রহমান বলেন,আপোষকৃত জমি ভোগদখল না দেওয়া প্রসঙ্গে ১০নং আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান বরবর একটি অভিযোগ করেছিলাম বিবাদী মোঃ গোলাম রসুল,আব্দুল গফুর,কবির হোসেন ও হোসনেআরা ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়নি। চেয়ারম্যান তালবাহানা করছে সে জন্য ন্যায় বিচারের জন্য আমি দারে দারে ঘুরছি ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য। আব্দুল রহমান আরো বলেন আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বিবাদী কবির হোসেনের কাছে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ১০ নং আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছে উভয় পক্ষ আসছিলো আমরা ইউনিয়নে বসাবসি করছি কিন্তুু শেষ করতে পারেনি শালিষ। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়টা নিয়ে বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করবো।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]