সাতক্ষীরা সদর ইউএনও'র নির্দেশে কুখরালীতে সরকারী খাস জায়গায় অবৈধভাবে দখল ও নির্মাণকৃত ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। পৌর ভুমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানান, শনিবার ভোর রাতে পৌর শাখা ভুমিহীন সমিতির আশরাফুল গাজীর নেতৃত্বে কুখরালী এলাকায় এয়াকুব জমাতদারে ছেলে ইকবাল জমাতদার কর্তৃক দখলকৃত সরকারী খাস জায়গা ভুমিহীনরা দখল করে বাঁশ ও কাঠের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করে।
একপর্যায়ে ওই দিন শনিবার অনুমান সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরার নির্দেশে পুলিশের উপস্থিততে ইকবাল জমাতদার কর্তৃক পেটুয়া বাহিনী লোকজন ওই জমিতে বাঁশ ও কাঠের বেড়ায় নির্মাণকৃত ভুমিহীনদের ঘর ভেঙে দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন পৌর ভুমিহীন সমিতির নেতা আশরাফুল গাজী। কুখরালী এলাকায় ইকবাল জমাতদার কর্তৃক দখলকৃত সরকারি খাস জায়গায় ভুমিহীনদের দখল ও ঘর নির্মাণের বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইকবাল জমাতদার কর্তৃক দখলকৃত সরকারি খাস জায়গায় ভুমিহীনদের দখল ও বসতঘর নির্মাণের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে আমি শুনেছি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ইকবাল জমাতদার সরকারি খাস জায়গা দখল করে রেখে ইটভাটা সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে আসছে। গত শনিবার ভোররাতে সেই জায়গায় পৌর ভুমিহীনরা দখল করে বসতঘর নির্মাণ করেছিল। পরে নাকি পুলিশের উপস্থিততে ইকবাল জমাতদার কর্তৃক লোকজন বসতঘর ভেঙে দিয়ে ভুমিহীনদের উচ্ছেদ করে দেয় বলে আমরা জানতে পারি। পরে জেলা ভুমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দরা আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এক প্রতিবাদ সভা করে। তবে এই খাস জায়গাটি ভুমিহীনদের পুনবাসনের স্বার্থে মাননীয় সংসদ সদস্য, ডিসি, ইউএনও সহ এসিল্যান্ড কর্তৃকপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে জায়গাটি উদ্ধারসহ প্রকৃত ভুমিহীনদের পুনবাসনের ব্যবস্থা জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানানো হবে।
জেলা ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজী জানান, ইকবাল জমাতদার কর্তৃক দখলকৃত সরকারি খাস জায়গা ভুমিহীনদের দখলের বিষয়ে আমি সহ সংগঠনের জেলার নেতৃবৃন্দরা কিছুই জানেন না। পরে শুনেছি পৌর ভুমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দ'র নেতৃত্বে ওই জমি ভুমিহীনরা দখল করে ঘর নির্মাণ করে। পরে নাকি সদর ইউএনও'র নির্দেশে ও পুলিশের উপস্থিততে ইকবাল জমাতদার কর্তৃক সন্ত্রাসী বাহিনী ওই জমিতে গিয়ে ভুমিহীনদের দখল ও নির্মাণকৃত ঘর ভেঙে দিয়ে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। তবে এসব বিষয়ে জেলা ভুমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, কোনো ভুমিহীন হোক অথবা ভুমিদৃশ্য হোক কেউ সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ঘর নির্মাণ করতে পারবেন না। তবে সরকারি খাস জায়গা নিতে হলে প্রকৃত ভুমিহীন হতে হবে এবং সরকারের মাধ্যমে নিতে হবে। আর আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যাচাইবাচাই করে প্রকৃত ভুমিহীনদেরকে জমি ও ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]