সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা মহাশ্মশান ও মন্দির কমিটির সভাপতিকে গুরুতর জখম ও টাকা ছিনতায়ের ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় চরম আতংকে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
এদিকে থানায় অভিযোগ দেয়ার দুই দিন পরও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহা শ্বাশান ও মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়দেব ঘোষ।
একইসাথে তিনি অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নির্মল কুমার ঘোষ ঝাউডাঙ্গা মহা শ্বাশান ও মন্দির কমিটির সভাপতি ও মেঘনা অটো রাইস মিলের মালিক। তিনি দক্ষিন পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা।
এরআগে গত ৮ মে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঝাউডাঙ্গা বাজারের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাথরঘাটা গ্রামের আবুল হোসেন মাস্টারের বাড়ি পিছনে একদল দুর্বত্ত লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নির্মল ঘোষের উপর হামলা চালায়। এসময় দুর্বত্তারা তাকে বেধড়ক মারপিট ও গুরুতর জখম হয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পরে তার কাছে থাকা ৪১ হাজার ১৯০ টাকা ছিনাতাই করে। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঝাউডাঙ্গার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে। তার মাথায় ছয়টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরদিন ৯ মে দুপুরে গুরুতর আহত ঝাউডাঙ্গা শ্বাশাণ ও মন্দির কমিটির সভাপতি গুরুতর আহত নির্মল ঘোষের ছেলে দেবাশীষ ঘোষ বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অজ্ঞাত ২/৩জন দুর্বত্তকে আসামীকে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ঝাউডাঙ্গা শ্বাশাণ ও মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়দেব ঘোষ জানান, দেবাশীষ ঘোষের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক আমি সভাপতি ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী নির্মল ঘোষের চিকিৎসা শেষে তার পাথরঘাটা গ্রামের বাড়িতে পৌছে দেয়। এবং দ্রুত সাতক্ষীরা সদর থানা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানায় অভিযোগ দেয়ার দুই অতিবাহিত হলেও পুলিশ এ বিষয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তিনি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে বাদী দেবাশীষ ঘোষ জানান, মর্মান্তিক এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তার বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন।
এছাড়া স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। বর্তমানে অনেকে ব্যবসায়ী সন্ধ্যার আগেই দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। তিনি তার পিতার উপর হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচারের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’র সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]