সাতক্ষীরার প্রতাপনগরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী লুটতরাজ মামলাবাজ আব্দুল্লাহ আল মামুন গংয়ের হাত থেকে মৎস্যঘের রক্ষা এবং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন আশাশুনির গ্রতাপনগর গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেরে আবু আবদুল্যাহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের সানার পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহিদুল্লাহ সানা, আমানুল্লাহ সানা, আজিবার রহমানের পুত্র আব্দুর রহিম গংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতা, ডাকাতি, মৎস্যঘের দখল, মারপিটসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
এপর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এতসব মামলা থাকার পরও তারা অত্র এলাকায় একেরপর এক নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রীপুর মৌজায় ৫০৬ এবং ৫০৭ দাগে আনুমানিক ২০ বিঘা সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমি এবং প্রতিবেশী ভাই রিয়াছাত আলী লস্কর মিলে মৎস্যঘের পরিচালনা করে আসছি।
প্রতাপনগরে মৎস্যঘের পরিচালনা করতে গেলে আব্দুল্লাহ বাহিনীকে চাঁদা দিতেই হবে। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন চাঁদা দিয়ে আসলেও ২০১৯ সালের দিকে আকস্মিকভাবে উক্ত মৎস্যঘের দখল নেওয়ার চক্রান্ত শুরু করে এবং আব্দুল্লাহ প্রকাশ্যে বলে তারা ঘের বাঁধবে কিন্তু ঘের করবো আমরা। সেসময় থেকেই আব্দুল্লাহ বাহিনীর সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে আমাকে,রিয়াছাতআলীসহ আমার পরিবারের সদস্যদের খুন জখমসহ নানান হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছে। আব্দুল্লাহ বাহিনী এতটাই হিং¯্র যে তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, মারপিট ও মানহানির মত নির্যাতন করে আব্দুল্লাহ বাহিনী। আমাকে একাধিকবার হত্যাসহ জমি অবৈধভাবে দখলের হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করেছে আব্দুল্লাহ বাহিনী। এবিষয়ে আমি আশাশুনি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছি। তাদের বিরুদ্ধে ডজনখানেক মামলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মামলা দেওয়া হল। আশাশুনি থানার মামলা নং-০৫, তাং- ১১ এপ্রিল‘২০১৪, মামলা নং-০৬, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, মামলা নং- ০৮, তাং- ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, মামলা নং- ১৮, তাং- ২৯ জুন ২০১৮, কয়রা কোর্ট মামলা নং- ০৫/১৮ তাং- ১২ জুলাই‘২০১৮, আশাশুনি থানার মামলা নং- ১২, তাং-০৯ সেপ্টেম্বর‘২০১৮, মামলা নং-১৪,তাং- ২৭ অক্টোবর‘২০১৮। এছাড়াও একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন উল্লেখিত আব্দুল্লাহ বাহিনী বছরের ৬ মাস সমুদ্রে মাছ ধরে।
এলাকার ফিরে বাকী ৬ মাস শান্তি প্রিয় মানুষের জমি দখল, ঘেরদখল, চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্ম চালিয়ে থাকে। আব্দুল্লাহ বাহিনী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। এখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আমরা উল্লেখিত আব্দুল্লাহ বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আমাদের মৎস্যঘের রক্ষা, জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরাসহ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]