সাতক্ষীরা বিনেরপোতা এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। রোববার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় কয়েকটি মাটি বহনকারী হল্লা ডেম্পার গাড়ি সহ একটি মাটি কাটা ভ্যৈকু মেশিন আটক করেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের বিনারপোতা ব্রিজ সংলগ্ন বেতনা নদীর ২ নং পোল্ডারের বেশকিছু অংশের খননকৃত মাটি সরকারি ভাবে কোন প্রকার টেন্ডার ও নিলাম ছাড়াই সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ৩ এপ্রিল থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী সদর উপজেলার নলকুড়া গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, হাসান, কলারোয়া এলাকার সহকারী ঠিকাদার টুটুল, লাবসা ইউপি মহিলা মেম্বার মিতুর স্বামী হাফিজুর রহমান, আমতলা এলাকার ছোটবাবু কর্তৃকসহ আরো অনেকে অবৈধভাবে বেতনা নদী খনন মাটি বিক্রির করেছে। বিষয়টি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-০২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান কে অবহিত করা হলে মাটি বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। তারা পুনারায় ৭ এপ্রিল সকাল থেকে সন্ধ্যাকালীন ও রাত ৮ থেকে ভোর ৪ পর্যন্ত শতশত হল্লার ডাম্পার যোগে বিরামহীনভাবে বেতনা নদীর বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে অবাধে তারা স্থানীয় ইটভাটাসহ অন্যত্র মাটি বিক্রি করে।
১০ এপ্রিল সকাল ১০ টা পর্যন্ত শতশত হল্লার ডাম্পার যোগে তারা বিরামহীনভাবে বেতনা নদীর বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে অবাধে চলাকালে সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এসে বন্ধ করে দেয় এবং কয়েকটি মাটি বহনকারী হল্লা ডেম্পার গাড়ি সহ ভ্যেকু মেশিন আটক করে। কিন্তু আটককৃত বহনকারী হল্লা ডেম্পার ও ভ্যেকু মেশিন ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃকপক্ষকে রিকুয়েষ্ট করে লাবসা ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্র শাহীন। তবে এই সংঘবদ্ধ চক্ররা লাখ লাখ টাকার অবৈধভাবে বেতনানদীর খননের মাটি বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এদিকে সূত্রে জানাগেছে, গত ৩১ মার্চ পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং হয়। মিটিংয়ে বেতনা নদী খনন মাটি বাঁধের উপরিভাগে দেওয়ার পর অতিরিক্ত মাটি নিলামে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-০২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদের সাথে বেতনা নদীর খননকৃত মাটি কেটে বিক্রি ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন, বিনেরপোতার বেতনানদীর অবৈধভাবে খননের মাটি বিক্রির গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে সেখানে আমি অভিযান চালায়। এসময় কয়েকটি মাটি বহনকারী গাড়ি ও একটি মাটি কাটা ভ্যেকু মেশিন আটক করা হয়েছে। আটককৃত মাটি বহনকারী গাড়ি ও মাটি কাটা মেশিন কর্তৃকদের বিরুদ্ধে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর থানার পুলিশের এ এস আই রাবিককে বলা হয়েছে । তবে পরেবর্তিতে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি বন্ধের জন্য স্থানীয় এক চেয়ারম্যানের পুত্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]