সাতক্ষীরার শিকড়ীতে বি.কে ইউনিয়ন মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে অবৈধভাবে পাঁচটি পদে নিয়োগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শিকড়ী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র তুহিন মেম্বর।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় বি.কে ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুাৎসাহী সদস্য। দীর্ঘদিন দিন ধরে অত্র এলাকায় শিক্ষা বিস্তার করে আসছে প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক এম এ কাশেম এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহফুজ আহমেদ এর
অবৈধ অর্থের লোভ প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে।
বর্তমানে শিক্ষাদানের চেয়ে নিয়োগ বাণিজ্যে মেতেছে প্রধান শিক্ষক এম এ কাশেম ও সভাতি মাহফুজ আহমেদ। বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক,
কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তাকর্মী এবং আয়া পদে মোট ৫টি পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এনিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সকলে ঐক্যমতের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও অবৈধ অর্থের লোভে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি যোগসাজস করে গোপনে ওই পাঁচটি পদে নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন।
অথচ ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্যই এবিষয়ে কিছুই জানে না। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এ নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। পরে নিয়োগ বাণিজ্যের অর্থ দুইজন মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে আমরা ধারনা করছি। নিয়োগের কোন তারিখও উল্লেখ করা হয়নি।
ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের অবগতি না করিয়ে কিভাবে এ নিয়োগ সম্পন্ন করা হল তা নিয়ে বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকারাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়টির সঠিক তদন্তপূর্বক ওই অবৈধ নিয়োগ বন্ধসহ এর সাথে জড়িত অর্থলোভী প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]