সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ আসার অগেই প্রতিপক্ষ কর্তৃক অবৈধভাবে দোকানঘর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শহরের সুলতানপুরের মৃত শেখ আমির আলীর ছেলে শেখ উজির আলী এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উজির আলীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তার ছেলে তানভীর হাসান হৃদয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বিগত ১৯৮০ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত মীর মনজুর আলী ও মৃত খোকন আলীর কাছ থেকে দোকানঘর ভাড়া নিয়ে অদ্যবদি সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নিয়মিত প্রতিমাসে দোকানঘরের ভাড়া পরিশোধ করছি। এমনকি মহামারি করোনাকালিন সময়েও ব্যবসা বন্ধ থাকলেও আমি ভাড়া দেয়া বন্ধ করিনি। এদিকে মীর মনজুর আলী ও খোকন আলীর মৃত্যুর পর দোকানঘরটি ওয়ারেশ সূত্রে মূল শরিককে বঞ্চিত করে তাদেরকে না জানিয়ে একতরফাভাবে মীর মনজুর আলীর মেয়ে ইফাত আরা মঞ্জুর শরিফ (লাবনী) প্রাপ্ত হন। তিনি বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে আমাদেরকে উক্ত দোকানঘর থেকে বিতাড়িত করার চক্রান্ত করতে থাকেন। একপর্যায় তিনি আদালতের স্বরাপন্ন হয়ে ভাড়া না দেয়ার অভিযোগ করলে আমরা প্রতিমাসে আদালতের মাধ্যমে ভাড়ার টাকা নিয়িমিত পরিশোধ করছি। যার রিসিভ কপি আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
শেখ উজির আলী অভিযোগ করে বলেন, পরে লাবনী ও তার স্বামী সাইদুর রহমান শরিফ গোপনে আদালত থেকে একতরফা একটি ডিগ্রি লাভের প্রচার দিয়ে তালা ভেঙ্গে দোকানঘর দখল ও মালামাল খালে ফেলে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু অফিসিয়াল কোন নোটিশ আমাদের কাছে এখনো আসেনি। এদিকে আমার অসুস্থ্যতার খবর শুনে লাবনী ও তার স্বামী সাইদুর রহমান শরিফ গত ১০ জানুয়ারি অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লোকজন নিয়ে দোকানঘরে আমার তালা লাগানো থাকা স্বত্বেও নতুন করে আলাদা তালা লাগিয়ে দেয়। ১২ জানুয়ারি সকালে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে দোকানঘরের তালা কাটতে থাকে। এসময় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা বাধা দিয়ে বলেন, ঘরের তালা কাটতে হলে অবশ্যই কোর্টের আদেশ ও ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতি থাকা লাগবে। ফলে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে তারা ফের এসে তালা ভেঙ্গে মালামাল খালে ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, আদালতের কোন নির্দেশ বা নোটিশ আমি এখনো পাইনি। এছাড়া কোন ডিগ্রি যদি তারা পেয়ে থাকে তাহলে সেটি সম্পূর্ন একতরফা। এক্ষেত্রে আদালতে আমাদেরও ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। ইতিমধ্যে আমরাও আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। আদালতের আদেশের কপি আসার আগেই এবং আদালতের পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষা না করে তারা আমার অসুস্থ্যতার সুযোগে আমার উপার্জনের একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বেআইনি ভাবে দখলের চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
উক্ত ইফাত আরা মঞ্জুর শরিফ (লাবনী) ও তার স্বামী সাইদুর রহমান শরিফ যাতে অন্যায়ভাবে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে দখল নিতে না পারে সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]