করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩ জন ও বেসরকারি একটি হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরায় শুক্রবার থেকে তৃতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে জেলায় করোনা পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ২১ শতাংশ। ১৫ দিন ধরে জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ৪৫ থেকে ৬৪ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের অজয় মণ্ডল (৩৮) করোনা শনাক্তের পর নিজ বাড়িতেই ছিলেন। গতকাল বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া করোনা পজিটিভ শ্যামনগর উপজেলা সদরের আশুতোষ মণ্ডলকে (৬৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন ও বেসরকারি সিবি হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।
এদিকে, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। লকডাউনে খানিকটা ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ। ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন এবং সীমান্ত দিয়ে কেউ যাতে পারাপার না হতে পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অপরদিকে, করোনা রুগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পুরোটাই করোনা ডেডিকেটেড করা হয়েছে।এখানে এখন ২৫০ টি বেড আছে তবে পরবর্তীতর ৫০০ বেড করা হবে।করোনা বৃদ্ধি রোধে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
উল্লেখ্য:করোনা সংক্রমনের হার কমানোর জন্য গত ৫ জুন সাতক্ষীরা জেলাকে লকডাউন করা হয়।আজ লকডাউনের ১৫ দিন চলছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]