কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে জেলার ৩২ হাজার ৩০০ জন কৃষক। ২০২১-২২ অর্থ বছরে জেলার সাত উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের শস্য আবাদের জন্য বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে জেলার কয়েকটি উপজেলায় বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে এ প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষিবান্ধব সরকার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বিভিন্ন মৌসুমে ফসল উৎপাদনে জন্য প্রণোদনার বীজ ও সার ব্যবহার করে শস্য উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা পূরণে অবদান রাখবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, কৃষি প্রণোদনার আওতায় জেলা মোট ৩২ হাজার ৩০০ কৃষিককে বীজ ও সার দেওয়া হবে। এর মধ্যে জেলার ১০ হাজার কৃষককে বোর ধানের (উফশী) বীজ ও সার দেওয়া হবে। বোর ধান (উফশী) সদর উপজেলায় দুই হাজার জন কৃষককে, কলারোয়া উপজেলায় এক হাজার ৬০০ জনকে, তালা উপজেলায় এক হাজার ৮০০ জনকে, দেবহাটা উপজেলায় এক হাজার জনকে, কালিগঞ্জ উপজেলায় এক হাজার ৩০০ জনকে, আশাশুনি উপজেলায় এক হাজার ৩০০ জনকে এবং শ্যামনগর উপজেলায় এক হাজার জনকে পাঁচ কেজি ধানের বীজ, ১০ কেজি ড্যাব সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
এছাড়াও বোর ধান (হাইব্রিড) বীজ পাবে জেলার ১৪ হাজার কৃষক। সদর উপজেলায় তিন হাজার জন, কলারোয়া উপজেলায় দুই হাজার ৫০০ জন, তালা উপজেলায় তিন হাজার জন, দেবহাটা উপজেলায় এক হাজার ৫০০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় এক হাজার জন, আশাশুনি উপজেলায় দুই হাজার জন ও শ্যামনগর উপজেলায় এক হাজার জনকে দুই কেজি হাইব্রিড ধানের বীজ দেওয়া হবে।
রবি মৌসুমে দুই হাজার কৃষককে গমের বীজ ও সার দেওয়া হবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৬৫০ জন, কলারোয়া উপজেলায় ৫০০ জন, তালা উপজেলায় ৪৫০ জন, দেবহাটা উপজেলায় ১০০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১০০ জন, আশাশুনি উপজেলায় ১০০ জন ও শ্যামনগর উপজেলায় ১০০ জন কৃষককে ২০ কেজি গমের বীজ, ১০ কেজি ডেপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
একই মৌসুমে এক হাজার কৃষককে ভূট্টার বীজ ও সার দেওয়া হবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২৫০ জন, কলারোয়া উপজেলায় ১৫০ জন, তালা উপজেলায় ১৭০ জন, দেবহাটা উপজেলায় ৮০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৫০ জন, আশাশুনি উপজেলায় ১০০ জন ও শ্যামনগর উপজেলায় ১০০ জন কৃষককে দুই কেজি ভূট্টার বীজ, ২০ কেজি ডেপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
এছাড়াও পাঁচ হাজার কৃষককে সরিষার বীজ ও সার দেওয়া হবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৯৫০ জন, কলারোয়া উপজেলায় এক হাজার ৫০ জন, তালা উপজেলায় ৯০০ জন, দেবহাটা উপজেলায় ৪৫০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৬০০ জন, আশাশুনি উপজেলায় ৫০০ জন ও শ্যামনগর উপজেলায় ৫৫০ জন কৃষককে এক কেজি সরিষার বীজ, ১০ কেজি ডেপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
একই মৌসুমে তিনশ কৃষককে খেসারির বীজ ও সার দেওয়া হবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫০ জন, কলারোয়া উপজেলায় ৪০ জন, তালা উপজেলায় ৩০ জন, দেবহাটা উপজেলায় ৩০ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৮০জন, আশাশুনি উপজেলায় ২০ জন ও শ্যামনগর উপজেলায় ৫০ জন কৃষককে আট কেজি খেসারির বীজ, ১০ কেজি ডেপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: নূরুল ইসলাম বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন মৌসুমের ফসল উৎপাদনে নিয়মিত প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। প্রণোদনার বীজ ও সার ব্যবহার করে উপকারভোগী কৃষকরা শস্য উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা পূরণে অবদান রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]