সাতক্ষীরায় আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের প্রভাবে দেশিটার দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা কমেছে। দেশি পেঁয়াজের দাম কম থাকায় বিক্রেতারা এখনো ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারজাত করেননি। ভরা মৌসুমে আমদানিতে কৃষকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি ভারতের পেঁয়াজের দাম বেশি এবং দেশিরটা কম হওয়ায় কেউ লাভবান হতে পারছেন না। দেশব্যাপী পেঁয়াজের ঘাটতির উল্লেখ করে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ, ভরা মৌসুমের পর পেঁয়াজ আমদানি হলে ভালো হতো।
সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। দু’দিনে এ বন্দর দিয়ে ২৯টি ট্রাকে সাড়ে ৭০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজের বিক্রয়মূল্য কেজিপ্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা ধরায় এখনো বাজারজাত হয়নি। তা ছাড়া দেশি পেয়াঁজের চাহিদা বেশি আর দামও (কেজি প্রতি ২৫ থেকে ২৮ টাকা) কম থাকায় বিক্রেতারা ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছে না বলে জানিয়েছেন তারা।
পেঁয়াজ আমদানি শুরুর মধ্য দিয়ে ভারতে আটকে থাকা এলসির টাকা আসতে থাকায় আমদানিকারকরা সন্তোষ প্রকার করেছেন।
তবে ব্যবসায়ীদের মতে, ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানির ফলে কৃষকরা যেমন সঠিক মূল্য পাবেন না, তেমনি আমদানিকারকরাও সঠিক মূল্য না পাওয়ায় উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
আর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম পেয়াঁজের ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বলেন, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমের পরে আমদানি হলে কৃষকরা উপকৃত হতেন। তা ছাড়া পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে সরকার গ্রীষ্ম মৌসুমেও সেটি আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সাতক্ষীরায় এবার ৬২০ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]