“ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন যদিও সে পর হয় নারীর কারণ” বেঁচে থাকতে ২ ভাই এক সাথে ঘুমাতে না পারলেও মরার পরে দিব্বি পাশাপাশি কবরে শুয়ে আছে সহোদর শাহজান -মোন্তাজ।
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার জগদানন্দকাটি গ্রামের মজিদ মোড়লের ২ পুত্র মোন্তাজ মোড়ল (৩৫) ও তার বড়ভাই শাহাজান মোড়ল (৪০)বসতভিটার এক টুকরা জমি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে ছিল। এ কারণে বড়ভাই শাহাজান গত ৭ মার্চ রাত্র ৯ টার দিকে তাঁর ছোট স্ত্রীর কু-পরামর্শে আগে থেকে বাড়িতে প্রবেশের মুখে দেশিও অস্ত্র দা নিয়ে ওৎ পেতে ছিল। ছোটভাই মোন্তাজ বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্রই এলোপাতাড়ী কুপিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে মোন্তাজকে চিকিৎসার জন্য খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার ২দিন অতিবাহিত না হতেই একই অরশে জন্ম নেওয়া ভাইকে হত্যা করে নিজেকে কোন ভাবেই বিবেকের কাছে জবাব দিতে পারছিলো না।তাই নিজের জীবন দিয়ে ভাইয়ের কাছে চলে গেল। ২ দিন বিবেকের সাথে যুদ্ধ করে ৯ মার্চ রাতে পলাতক থাকা অবস্থায় জেলার কলারোয়া উপজেলার খরদো গ্রামের একটি বাগানে বিবেকঅধুষ্টিত হয়ে একটি বাগানের পৃত্তিগাছের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
সাতক্ষীরার কলারোয়া থানা পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে ৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ওই বিকালেই মোন্তাজের কবরের পাশে হত্যাকারী বড়ভাই শাহাজান কে কবরস্থ করা হয়।
এদিকে, ১০ মার্চ সকালে ওই হৃদয়বিদারক ২ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা জানতে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এক নিদারুণ কষ্টের শোক যেন তাঁদের অষ্ট -পিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। ২ ভাইয়ের বসতঘরে পুলিশ কাঁটা সহ তালা লাগিয়ে দিয়েছে। মা ২ ছেলেদের হারানোর শোকে পাথর হয়েছে। বাবা মজিদ মোড়ল পাগলের মত এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করছে। ঘাতক বড়ভাইয়ের ২ স্ত্রীর ২টি পুত্র সন্তান রয়েছে।
হত্যার শিকার মোন্তাজের স্ত্রীর ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। যাঁর মধ্যে একটি মেয়ে বিবাহযোগ্য। তাঁদের মা বারবার বলছিল শাহজানের ছোটস্ত্রী মামলার বাদিনীর কারণে এ আজ তাঁর পৃথিবী অন্ধকার।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]