সাতক্ষীরার বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খননের পাশাপাশি টিআরএম পদ্ধতি চালুর দাবিতে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির বাবু আদিত্য মল্লিক।
মতবিনিময় সভায় জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের পরিচালনায় উপস্থিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানি কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম, জেলা পানি কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিছুর রহিম, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড, ফাইমুল ইসলাম কিসলু, জেলা জাসদ সভাপতি শেখ ওবায়দুর সুলতান বাবলু, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি সরদার কাজেম আলী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, জেলা ন্যাপ সভাপতি হায়দার আলী শান্ত, সাংবাদিক নাজমুল হোসেন মুন্না।
এছাড়াও বক্তব্যে রাখেন জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সিনি. সহ সভাপতি আব্দুস সামাদ, আবু সুফিয়ান সজল, সেলিম হোসেন (সাংবাদিক), উৎপাল মন্ডল, জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলি, সাংবাদিক শেখ রেজাউল ইসলাম বাবলু, লাবসা ইউনিয়ন ভুমিহীন সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, শুধু নদী খনন করে নদী রক্ষা করা সম্ভব নয়। নদী বাঁচাতে হলে টিআরএম এর মুল কাজ। পাশাপাশি অন্তঃনদী সংযোগের মাধ্যমে নদী প্রবাহ ফিরে আসবে। কাকশিয়ালী আদি যুমনা সরাসরি ইছামতি নদীর সাথে যুক্ত আছে। এই নদীর মুখে কোন সুইজগেট নির্মাণ করা হয়নি। বক্তারা আরও বলেন, কলারোয়া ভিই খালির মাধ্যমে নৌ খালের সাথে বেতনার সংযোগ ও কালীগঞ্জের উজিরপুর ত্রি মোহনা থেকে মাধ্যমে আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নদীর সংযোগ করতে হবে। সাতক্ষীরা বাঁচাতে টিআরএম পাশাপাশি অন্তঃনদী সংযোগ করা জরুরী। বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী পুনরুজ্জীবনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। তাই বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খননের পাশাপাশি টিআরএম পদ্ধতি চালু করতে হবে।
তাহলে ১৫ লাখ মানুষ দুর্যোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষে এসব কার্যকারী উদ্যােগ গ্রহন করার দাবি জানান বক্তারা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]