সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে পানিতে পড়ে ২৮ দিনের বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘটনার সুষ্ট তদন্ত এবং হয়রানিমূলক মামলার দায় থেকে পিতার অব্যহতি দাবি করেছেন ছেলে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার যতিন্দ্রনগর গ্রামের আজাদ আলী গাজীর ছেলে মোঃ আশিকুর রহমান এই দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জমিজমা নিয়ে আমার পিতার সাথে একই এলাকার আমিনুরের বাবা-চাচাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।
গত ১২ জুলাই আমিনুর রহমানের মেয়ে আফরোজা খাতুনের ২৮ দিন বয়সী শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। লোকমারফত জেনেছি ঘটনার দিন দুপুরে খাওয়ার পর বাচ্চাটিকে নিয়ে খাটের উপর ঘুমিয়ে ছিল আফরোজা খাতুন। এটি দেখে আফরোজার মা আছিয়া খাতুন পাশের বাড়িতে একজন আহত রোগীকে দেখতে যান। সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে এসে দেখেন আফরোজা খাটের উপর ঘুমিয়ে থাকলেও কোলে তার বাচ্চা নেই। এসময় তারা চারিদিকে বাচ্চাটিকে খোঁজাখুজি শুরু করে। একপর্যায় বাড়ির পাশের পুকুর হতে বাচ্চাটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশকে খবর না দিয়ে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করা হয়। এঘটনায় এলাকায় গুঞ্জনের সৃষ্টি হলে আফরোজা খাতুনের পরিবার স্থানীয় এক কবিরাজকে বাড়িতে এনে বিভিন্ন কৌশলে বাচ্চার মৃত্যুর কারন উদঘাটনের চেষ্টা করেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। পরে এঘটনা শুনে আমরা ব্যথিত হয়েছি।
আশিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দুইদিন পর আফরোজা খাতুন গংদের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব আমার পিতা আজাদ আলী গাজীকে পুলিশে সোপার্দ করে। পরে আফরোজা খাতুন বাদি হয়ে আমার বৃদ্ধ পিতাকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অথচ আমার পিতা ও আমি এবিষয় কিছুই জানতাম না। আমাদের বাড়ি হতে প্রায় এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আফরোজাদের বাড়ি থেকে প্রকাশ্যে দিবালোকে শিশু চুরি করে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে অথচ করো চোখে পড়লো না, এটি কেমন কওে হতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমার পিতা আজাদ গাজী একজন সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ। জমি নিয়ে আমিনুর গংদের সাথে তার বিরোধ থাকতে পারে কিন্তু ২৮ দিন বয়সী ওই শিশুর সাথে তার কোন শত্রুতা নেই। শুধুমাত্র পূর্ব বিরোধের কারনে আমার পিতাকে ওই মামলার আসামী করা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার তদন্তে গেলে আফরোজা এবং তার পরিবারের সদস্যরা উল্টোপাল্টা বক্তব্য দেন। মামলার এজাহারে বর্ণিত বক্তব্যের সাথে তাদের দেয় ওই বক্তও্যরে কোন মিল ছিল না।
তিনি বলেন, আমরা শিশু হত্যার বিচার চাই। কিন্তু তদন্তের নামে কোন নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে তার নিরীহ বৃদ্ধ পিতাকে মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি দিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]