করোনার উর্দ্ধগতি ঠেকাতে সাকক্ষীরায় চলছে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন। সোমবার লকডাউনের তৃতীয় দিন। প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিন সাতক্ষীরা শহরে ঢিলেঢালা লকডাউন পালিত হলেও তৃতীয় দিনের লকডাউনের চিত্র ছিল ভিন্ন। সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে সাধারন মানুষের চলাচলে পুলিশি বাঁধা ছিলো চোখে পড়ার মতো। এক কথায় কঠোর লকডাউন ।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান মানুষকে সচেতন করতে নিজেই মাঠে নেমে পড়েছে। গত দুইদিন তিনি জেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে রোদ-বৃষ্টি উপপেক্ষা করে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সচেতন নাগরিকরা পুলিশ সুপারের ওই কর্মকান্ডে উৎসাহিত হয়েছে।
শহরের অবস্থা এমন কঠোর লকডাউন লক্ষ্যকরা গেলেও গ্রামের দৃশ্যপট আকেবারেই ভিন্ন। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ অবাধে চলাফেরা করছে। এটি প্রতিরোধ করতে না পারলে কোন অবস্থাতেই করোনা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সোমবার সকাল থেকে জেলা শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেট দেয়। শহরের প্রবেশদ্বারে মানুষের চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করে। লকডাউন মানতে তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন করছে।
বাইসাইকেল, মটরসাইকেল, ইজবাইক,ভ্যান, নছিমন, করিমন চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে তারা তাগিদ সৃষ্টি করছে পুলিশ। যার মুখে মাস্ক পরা নেই তাকে মাস্কও পরিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের এ ধরনের ভূমিকা প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
তবে শহরের চিত্র এমনটি হলেও গ্রামের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানছে না। গ্রামের হাটবাজারে মাস্ক ছাড়াই অধিকাংশ মানুষ অবাধে চলাফেরা করছে। মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আনিসুর রহিম জানান, শহরের মতো গ্রামেও অবাধে চলাচল নিয়ন্ত্রন করতে হবে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ যাতে মাস্ক পরে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে করোনা নিয়ন্ত্রন করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গ্রামে গ্রামে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাঠে নামতে হবে, কঠোরহস্তে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে গ্রামে গ্রামে নিয়োগ করতে হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]