সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন মাছের ঘের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বকুল।
তিনি সদর উপজেলার আলিপুর গ্রামের আকবর আলী সরদারের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বকুল বলেন, দেবহাটা উপজেলার বহেরা মৌজার ডাঙীর ঘেরে ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। এটি ওয়ারেশ সূত্রে পাওয়া। ৩০ বছর যাবৎ শন্তিপূর্ণভাবে এই জমি ভোগ দখল করে আসছি। এমতাবস্থায় দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামের মৃত ছইল উদ্দীন সরদারের ছেলে গোলাম মোস্তফা টুটুল ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হায়দার আলীসহ তাদের একটি দল আমার এই দখলীয় সম্পত্তি জবর দখলের পয়তারা করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা দেবহাটা সহকারি জজ আদালতে ২০১৭ সালে দেওয়ানি ৪১/১৭ নং মোকদ্দমা দায়ের করে। এই মামলায় তারা চিরস্থায়ী নিষেধাঙ্গা প্রার্থনা করলে আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে ৭৫/১৯ নং আপীল মামলা করি। আপীলে মাননীয় বিচারক ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর আমার পক্ষে রায় দেন। রায়ে জজ সাহেব উল্লেখ করেছেন, দেবহাটা সহকারি জজ আদালতের ৪১/১৭ নং মামলার ডিক্রিকৃত রায় রদ ও রহিত করা হইলো। এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হায়দার আলীর ভাই গোলাম মোস্তফা টুটুল মহামান্য হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন ২১৫৬/২০১০ নং মোকদ্দমা দায়ের করে। মহামান্য হাইকোর্ট স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ তারা উপেক্ষা করে স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। গত ৮ জানুয়ারি বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ টার দিকে গোলাম মস্তোফা টুটুলের বড় ভাই আজিবর রহমানের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র রাম দা, চাইনিজ কুড়াল,লোহার রড, শাবল, বাঁশের লাঠি নিয়ে আমার ভোগদখলীয় সম্পত্তি জবর দখল করতে যায়। এসময় আমিসহ আমার অন্যান্য ওয়ারেশগণ বাঁধা দিলে তারা আমাকেসহ অন্যান্যদের বেদম মারপিট করে আহত করে। মাছের ঘেরের বাসা ভাংচুর করে আসবাপত্র তছনছ করে। ক্যাশবাক্স ভেঙে ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা লুঠ করে নেয়। এছাড়া, আলমারি, খাট, নেট, মাছ ধরা জাল, আটন,পাটা ইত্যাদি লুঠ করে। একপর্যায়ে স্থাণীয়রা এগিয়ে এলে তারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এঘটনায় দেবহাটা থানায় পরস্পর মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে গোলাম মোস্তফা টুটুল গত ১২ জানুয়ারি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেছে। যাদের দ্বারা মার খেয়ে আহত হলাম। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলাম, তারাই সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চষ্টা চালাচ্ছে। শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলে আদালতের আদেশ অমান্য করে গায়ের জোরে আমার ৩০ বছরের ভোগদখলীয় সম্পত্তি জবর দখল করতে চাইছে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হায়দার আলী তার প্রভাব ও পেশী শক্তির দ্বারা মারপিট, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে।
এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হায়দার আলী, তার ভাই গোলাম মোস্তফা টুটুল, আজিবর রহমান গংদের হাত থেকে রেহাই পেতে ও মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি এবং ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান রাখতে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]