সাতক্ষীরার ধুলিহর এলাকার সন্ত্রাসী মাসুদ রানা ও ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে এক যুবলীগ নেতাকে হয়রানি ও খুন জখমের হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার বড়দল গ্রামের মোঃ শওকত আলী কারিকরের ছেলে যুবলীগ নেতা বাবলুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ধুলিহর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। বড়দল গ্রামের ভাগ্যের মোড়ে আমার একটি মুদিদোকান রয়েছে। দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি আমি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার দোকানের সামনে গ্রামের রাস্তায় ইট ভাটার ট্রলি চলাচল করায় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে মানুষের চলাচলের অসুবিধার পাশাপাশি
প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। রাস্তায় ট্রলি চলাচল নিয়ে বুধবার ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজনের সাথে ট্রলি মালিক বড়দল গ্রামের ইসলাম কারিকরের ছেলে
ফজলুর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় আমি গ্রামের রাস্তায় ভাটার ট্রলি না চালাতে বললে ফজলু ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
বাবলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এঘটনার পর বেলা ১টার দিকে ফজলুর নেতৃত্বে হত্যা প্রচেষ্টা ও নাশকতাসহ ডজন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামের তায়জেল মোড়লের ছেলে সন্ত্রাসী মাসুদ রানা, কোমরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী, আবুল কাশেমের ছেলে আলতাফ ও ধুলিহরের কচির ছেলে বাদশাসহ ৮/১০ জন মটর সাইকেলে দোকানের সামনে এসে আমাকে
খোঁজখুজি শুরু করে। এসময় তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ করে বলে,বাইরে আয় তোকে খুন করে ফেলবো। আমরা মিজান চৌধুরীর লোক, কেউ আমাদের কাজে বাধা দিলে তার হাত কেটে নিব। ফজলু হচ্ছে মিজান চৌধুরীর লোক তুই তার ট্রলি চালাতে নিষেধ করেছিস, তোর জিহবা কেটে নিব। এখন থেকে মিজান চৌধুরীর লোকের নামে কথা বললে তোকে খুন করে তোর রক্ত দিয়ে গোসল করবো। এসময় সন্ত্রাসীদের
ভয়ে আমি দোকনের মধ্যে লুকিয়ে থাকি। রাস্তায় পেলে তারা আমাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে সন্ধ্যায় মাসুদ ফোন করে বলে, ধুলিহর বাজারে আয়
তোর পা কেটে নিব আমরা। তাদের এধরনের হুমকিতে আমি ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছি।বাবলুর রহমান আরো বলেন, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর মাসুদ রানা জামিনে বেরিয়ে এসে তার নেতৃত্বে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে।
মিজান চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে সে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যখন তখন যাকে তাকে মারপিট করে। মিজান চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে চলায় কেউ তাদের
বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ কিছু বললে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাদের ভয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি এখন চরম
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি মিজান চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে চলা সন্ত্রাসী মাসুদ রানা ও তার বাহিনীর
সদস্যদের অত্যাচার, নির্যাতন ও হুমকি -ধামকি থেকে পরিত্রান পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]