সাতক্ষীরায় অবৈধভাবে সম্পত্তি দখল করতে না পেরে স্ত্রীকে দিয়ে পরিকল্পিত মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মিথ্যা মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার আখড়াখোলা গ্রামের মৃত রওশন দালালের পুত্র ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে এ সময় বলেন, আমি বিগত ১৯৭৮ সালের আখড়াখোলা মৌজায় এস এ মালিক গুরুচরন এর নিকট থেকে ৯ জানুয়ারী ১৯৭৮ সালে ২৫৮ নং দলিলে, নিতাই এর নিকট থেকে ১০৮১ নং কোবলা দলিলে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৮ তারিখে রফিকুল ইসলাম এর নিকট থেকে ৮৮৪৫ নং কোবলা দলিলে সর্ব মোট ২১ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি। এরপর থেকে দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম। সম্প্রতি একই এলাকার মৃত মহিউদ্দীন আহম্মেদের পুত্র শরফুদ্দীন আহম্মদ গং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত সম্পত্তি অবৈধ দখলের চেষ্টা করে। অথচ আমাদের পক্ষের সকল বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। এ বিষয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলাও দায়ের করি। মামলাটি পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে। সুচতুর শরফুদ্দীন আহম্মেদ এই সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে না পেরে সে তার নিজের স্ত্রী সোনিয়া খাতুনকে বাদী করে আমাদের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আমলী আদালত ১নং এ মামলা দায়ের করে। সেখানে আমার এবং আমার পুত্রের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার করা হয়েছে। উক্ত মামলায় যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে সে সকল স্বাক্ষীরাও এঘটনার কিছুই জানে না। স্বাক্ষীরা আমাদের জানিয়েছে তারা কিছুই জানে না। শরফুদ্দিন তাদের সাথে কথা না বলেই তাদের নাম দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মামলায় উল্লেখিত তারিখে ও সময়ে আমার সাথে ওই নারীর কোন কথা কাটাকাটিও হয়নি। তবে বাদী সোনিয়া খাতুনের স্বামী আমার ক্ষেতের বেড়াকাটা নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়েছিল।
এছাড়া আর কোন ধরনের ঘটনাই ঘটেনি। সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এঘটনায় সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। সেখানে ডিবি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, আমার সাথে শরফুদ্দিনের জমিজমা বিরোধ রয়েছে। এটা নিয়ে বাদীর স্বামী শরফুদ্দিনের সাথে তর্কবিতর্ক হয়েছে। কিন্তু বাদীকে শ্লীলতাহানির ঘটনার কোন প্রমান পুলিশ পায়নি।
তিনি আরো বলেন, পিতা-পুত্র একসাথে কোন নারীর শ্লীলতাহানি করতে পারে এমন ঘটনা আমাদের জানা নেই। শুধুমাত্র আমাকে পরিকল্পিতভাবে হয়রানি করে আমাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলকৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে সম্পত্তির দখল নিতেই এধরনের জঘন্য চক্রান্ত করা হয়েছে। আমি উক্ত মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি এ সময় পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, মানুষ কতটা
নিকৃষ্ট হলে নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নিজের স্ত্রীকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতে পারে ? এই মিথ্যা কাল্পনিক মামলাটিই তার প্রমান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় সঠিক তদন্তপূর্বক এই পরিকল্পিত মিথ্যা মামলার দায় থেকে তাকে ও তার পুত্রকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]