সাতক্ষীরায় পিতা-মাতার অপছন্দে বিয়ে করায় স্বামীকে খুন জখম, পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হুমকির দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার চৌধুরাটি গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম গাজীর মেয়ে গোলাপি পারভীন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী আমার বর্তমান বয়স ১৮ বছর। বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একজন মেয়ের ১৮ বছরপূর্ণ হওয়ার পর সে নিজের ভালো মন্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্র্রহণ করতে পারে। কালিগঞ্জ উপজেলার মানপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার পর উভয় পরিবারকে জানানো হলে আমার পিতাসহ পরিবারের অন্যরা মেনে নিতে রাজি হয়নি। তারা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যত্রে বয়স্ক এক ব্যক্তির সাথে আমাকে বিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে। যে কারণে আমি গত ৫ জানুয়ারি ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হই।’
গোলাপি পারভীন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি বিয়ে করায় আমার পিতা, ভাই ও চাচারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমার স্বামীকে মারপিট, খুন জখমসহ মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। এমনকি আমাকে ত্যাগ না করলে আমার স্বামীকে যেখানে পাবে সেখানে খুন জখম করবে, লাশ গুম করবে, স্বামীর বাড়িতে মাদক দ্রব্য রেখে পুলিশ দিয়ে আটক পূর্বক হয়রানি করবে মর্মে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ৯ জানুয়ারি আমার পিতা শফিকুল ইসলাম গাজী, মাতা মরিয়ম খাতুন, চাচা শহিদ গাজী, ভাই মোমিনুর ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন আমার শশুরবাড়ীতে গিয়ে আমার স্বামীকে মারপিট করতে উদ্যাত হয়। এসময় খুন জখমসহ মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দেয়। এছাড়া পুলিশ দিয়ে আমার স্বামীকে হয়রানি করে যাচ্ছে। ফলে ১১ জানুয়ারি সাতক্ষীরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমি একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলায় আদালত উভয় পক্ষকে শোকজ করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, স্বামীর ঘরই মেয়েদের আসল ঠিকানা। সেখানেই সুখ খুজে নেওয়ার জন্য প্রতিটি মেয়ে চেষ্টা করে। অনেক ক্ষেত্রে পিতা-মাতার কর্তব্য তাদের মেয়েকে পাত্রস্থ করা। আমি নিজের পছন্দ অনুযায়ী আমার সুখের ঠিকানা খুজে নিয়েছি। কিন্তু আমার পিতা-মাতার পছন্দ না হওয়ায় তারা আমার স্বামীসহ শশুরবাড়ির লোকজনদের হয়রানি করে যাচ্ছে। আমি প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মেয়ে হিসেবে আমার স্বামীর সাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।’
অকারণে পিতা-মাতা যাতে তার স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজনদের হয়রানি না করে সে বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সাতক্ষীরা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]