উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর প্রভাবে ইতিমধ্যেই উপকূলে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। আইলা, সিডর, আম্পানের পরে আবারও ঘূর্ণিঝড়ের খবরে আতঙ্কিত সাতক্ষীরার উপকূলের শ্যামনগর ও আশাশুনির প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ দুর্যোগ মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
উপকূলের মানুষ জানান, টিভি ও সোসাল মিডিয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের খবর দেখে এ অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ষাটের দশকের বেড়িবাঁধটি ভঙ্গুর দশায়। তাই আবারও প্লাবনের আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
তারা বলেন, উপকূলীয় এ অঞ্চলে ভালো বেড়িবাঁধ নেই, নেই তেমন কোনো সাইক্লোন সেন্টারও।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় জিও ব্যাগ, রোলব্যাগ পাঠাতে বলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। ৮০ কিলোমিটার এ বাঁধের মধ্যে ১০টি পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভাঙন এড়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ২০ হাজার জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় ১০৮টি এবং শ্যামনগর উপজেলায় ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, সুপেয় পানিসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]