২২ অক্টোবর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশকে ঘিরে সাতক্ষীরায় শক্রবার সকাল থেকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। খুলনা রুটে চলছে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। ফলে যাত্রীরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে।
এদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিএনপির নেতা-কর্মীরা নদীপথে খুলনায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে অনেক নেতা-কর্মী লঞ্জযোগে খুলনায় রওনা দিয়েছে বলে জানাগেছে।
সাতক্ষীরার মোট ৪টি রুটের মধ্যে খুলনা বাদে সব রুটে পরিবহন চলাচল করছে। শুক্রবার ভোর থেকে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তালার নগরঘাটা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৪৫) জানান, আমার আম্মা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। আজ তার অপারেশন। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি খুলনাবোস চলাচল বন্ধ। চরম বিপদে পড়েছি।
পলাশপোল গ্রামের আমিরুন নেছা (৬৫) বলেন, খুলনায় মেয়ের বাড়িতে য্ওয়া খুবই জরুরী । পরিবার নিয়ে বের হয়ে দেখি খুলনাগামী বাস বন্ধ। বাধ্য হয়ে কাটাপথে যেতে হচ্ছে। ভিষন কষ্ট পাচ্ছি।
সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহবায়ক সাইফুল করিম সাবু বলেন, সাতক্ষীরায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়নি। তবে বাস মালিকরা ও শ্রমিকরা নিরাপত্তাজর্নিত কারনে খুলনা রুটে বাস বন্ধ রেখেছে। যদি কোন বাস মালিক বাস চালাতে চায় সেক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেন, খুলনার সমাবেশ বাঁধাগস্ত করতে সরকার পরিবহন বন্ধ কওে দিয়েছে। তারা বাস বন্ধ কওে দেবে এটা আমরা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। বেশির ভাগ নেতা-কর্মী রওনা হয়েছে, পায়ে হেঁটে অথবা নদী সাঁতরিয়ে আজ খুলনাতে অসংখ্য নেতা-কর্মী পৌছে যাবে। তিনি বলেন, সাতক্ষীরার বিএনপির কোন নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়নি।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, অহেতুক কোন মানুষকে পুলিশ হয়রানি করবে না। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]