মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার পৌরসভার সড়কের বেহাল দশা, অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছো অনেক এলাকা। কাদা পানিতে হয়ে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী।
পৌরসভার বিশেষ করে নিম্ন অঞ্চলের সড়ক ও ড্রেনেজের বেহাল দশায় সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ও বাসা বাড়িতে পানি জমে থাকায় মানুষের ভোগান্তি যেন চরম আকার ধারণ করেছে। বর্ষাকাল আসতে না আসতেই শহরের এ অবস্থায় নাজেহাল পৌরবাসী।
দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও ড্রেনেজের এমন বেহাল দশা থাকলেও ব্যবস্থায় উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
৫ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার মধুমল্লারডাঙ্গী, কামালনগর, ইটাগাছা,পুলিশ লাইন, মেহেদীবাগ, রসুলপুর, বদ্দীপুর কলোনি, রইচপুর, মধ্য কাটিয়া, রথখোলা, রাজার বাগান, মুনজিতপুর, পুরাতন সাতক্ষীরার এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গিয়েছে এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বার্থান্বেষী কতিপয় ব্যক্তি পানি নিষ্কাশনের পথে নেটপাটা দিয়ে মাছ চাষ করায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বারবার বলেও কোনো লাভ হয়নি।
পৌরসভার এলাকা পরিদর্শনে এসে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ বলেন,সাতক্ষীরা শহরের জলাবদ্ধতায নিরসনে ঘের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে দফায় দফায় কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে জলবদ্ধতা হ্রাস পাবে।
পৌরসভার ০৩ নং ওয়ার্ডের কলোনি পাড়ার বাসিন্দা মাসুদ রানা বলছেন, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য ঘের। ফলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হয়ে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে থাকে মাসের পর মাস।ফলে বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছিল বিগত বছরগুলোতে।
এছাড়াও সদর উপজেলার ধুলিহর, শ্যাল্যে, মাছখোলা,দামারপোতা, গোবিন্দপুর, বালুইগাছা, ফিংড়ি, ব্রহ্মরাজপুর এলাকা তুলিয়ে থাকে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “বাজার এলাকায় ড্রেনেজ সংস্কারের প্রকল্প আছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।”
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কুখরালী উত্তর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন "প্রায় ১ মাস হতে চলল আমাদের এলাকার প্রায় একশো ঘর পাচশত মানুষ পানি বন্দী। শহরের ইটাগাছা, গড়ের কান্দা, কুখরালী ও বাকাল বারুইপাড়া এলাকার পানি আসে এই বিলে কিন্তু পানি বেড় হওয়ার পথ বন্ধ করে রেখেছে স্হানীয় প্রভাবশালীরা। বিগত পাচ বছর ধরে চলছে এই খেলা কিন্তু এভাবে আর চলতে হবে কত দিন তার উত্তর জানা নেই কারোর। বছরের চার থেকে পাঁচ মাস অত্র এলাকায় হাটু পানি জমে থাকে। এলাকার কাউন্সিলর শেখ মারুফ বলেন আমার কিছু করার নেই আপনারা মেয়র সাহেব কে বলেন। গত ৩ বছর আগে মেয়র সাহেব কথা দিয়েছিলেন ড্রেনের ব্যবস্হা করবেন কিন্তু আজও সেটি আলোর মুখ দেখে নি। দীর্ঘ দিন পানি আটকে থাকায় চলাচলের রাস্তাটি গেছে নস্ট হয়ে আর পচা পানির কারনে দেখা দিয়েছে চর্ম রোগ। স্হায়ী জলাবদ্ধতায় রুপ নিয়েছে এলাকাটি। গোসল,পায়খানা,খাওয়ার পানির খুব কস্ট হচ্ছে অত্র এলাকাতে। প্রশাসন,পৌরসভার সবাই এসে দেখে যায় আশ্বাস ও দেয় কিন্তু দুর্ভোগ কাটে না অত্র এলাকার বাসিন্দাদের। বাচ্চারা ও ঠিক মত স্কুলে যেতে পারছে না পচা পানি ও সাপের ভয়ে। এলাকা বাসির দাবি দুই হাত ড্রেনই পারে আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে। বিষয়টি দেখার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]