সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ১০ কাউন্সিলরের করা অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তদন্ত শেষে গত ২২ ফেব্রæয়ারি তারিখে তদন্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ওই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তদন্তে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে কোন আর্থিক দুনীতির প্রমান পাওয়া যায়নি। পানির বিল মওকুফ করলেও পৌর কাউন্সিলরদের সুপারিশের ভিত্তিতে পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ পানির বিল মওকুফ করেছিলেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এছাড়া পৌর কর মওকুফ করা হলেও তা পৌর কাউন্সিলরদের সুপারিশে মওকুফ করা হয়। সরাসরি ক্রয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর ২০০৮ এর ৮১ ধারায় বর্ণিত ঊর্দ্ধসীমা অতিক্রমের অভিযোগের ক্ষেত্রে মেয়র কর্তৃক বিল অনুমোদন করা হলেও অভিযোগকারী কাউন্সিলরগণ বিলের অর্থ গ্রহণ করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া মেয়রের বিরুদ্ধে ময়লার বিল বাবদ ১৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগের কোন প্রমান মেলেনি। অভিযোগকারী কাউন্সিলরগণ এ অভিযোগের কোন প্রমান উপস্থাপন করতে পারেননি।
ভূয়া আপ্যায়ন বিলের কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান পাননি তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া দলীয় কর্মীদের অনুদান প্রদানেরও কোন তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারী কাউন্সিলরগণ।
পৌর সভায় ৯টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ৮টি পাবলিক টয়লেটের কোন তথ্য খুজে পাননি তদন্ত কর্মকর্মতা। একটির তথ্য পেলেও সেটি রয়েছে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দায়িত্বে। ট্রেড লাইলেন্সের ফি এককভাবে হ্রাস করার তথ্য প্রমানিত হয়েছে।
এছাড়া পৌরসভায় মাষ্টাররোলের কর্মচারীদের সম্পর্কে যেসব তথ্য উপস্থাপন করে অভিযোগ আনা হয়েছিল তারও কোন সত্যতা মেলেনি। এভাবে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোন প্রমান মেলেনি। প্রায় প্রত্যেকটি অভিযোগের সাথে অভিযোগকারী কাউন্সিলরগণের সুপারিশ রয়েছে।
এদিকে ১০ কাউন্সিলরের করা অভিযোগের কারণে সাতক্ষীরা পৌরসভার নাগরিকরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে চিরকালের জন্য বঞ্চিত হয়েছেন। নাগরিকরা জানান, কাউন্সিলরদের কারণে তারা পানির বিল, পৌর ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেন। আর কখনো এসব বিল হ্রাস করতে পারবেন না। সাতক্ষীরা পৌরসভার গরীব দুস্থ অসহায় সাধারণ মানুষের উপর পড়বে এর প্রভাব। সাধারণ মানুষের জীবন-যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠবে।
সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, আমি সাতক্ষীরা পৌরবাসির সেবক হিসেবে কাজ করছি। কোন অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে আমি কখনো জড়িত ছিলাম না এবং বর্তমানেও নেই। আগামীতেও আমি দুর্নীতিমুক্ত থাকবো। সাতক্ষীরা পৌরসভার কতিপয় কাউন্সিলরের কারণে সাধারণ মানুষ যে সীমাহীন ক্ষতির শিকার হয়েছে তার জন্য আমি মর্মাহত। আমার বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা যে অভিযোগ করেছেন তার একটিও প্রমান হয়নি। কাউন্সিরররা তাদের স্বপক্ষে কোন প্রমান দিতে পারেননি। বরং বেশ কয়েকটি অভিযোগ তাদের বিপক্ষে প্রমান হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে সাধারণ মানুষের। তিনি সাধারণ নাগরিদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত কওে আরও বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে তাদেও প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। আমি তাদের সুখ দুঃখের সাথী হিসেবে বিপদে আপদে পাশে থাকার জন্য দায়বদ্ধ। এ দায়বদ্ধতা থেকে কেউ আমাকে সরাতে পারবে না।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]