অদ্য বেলা ১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির এক সভা ইসি রুমে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মো: আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল বারী। সাধারণ সম্পাদক সভায় উপস্থিত সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে এজেন্ডা অনুযায়ী আলোচনার আহবান জানান। নির্বাহী কমিটির সভায় বক্তৃতা করেন, সহ-সভাপতি ফারুক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, সাহিত্য, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক এস কে কামরুল হাসান, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাকিলা ইসলাম জুঁই, কার্য নির্বাহী সদস্য আব্দুল গফুর সরদার, গোলাম সরোয়ার, মুহাঃ জিল্লুর রহমান, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আমিরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অদ্য নির্বাহী কমিটির সভায় বক্তারা বলেন, যে অজ্ঞত নামা স্থান থেকে স্থানীয় একটি পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুকে প্রেসক্লাবের সভার নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। যা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের নজরে পড়েছে। প্রকৃত পক্ষে গত ২৪ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে সভা সঞ্চালনাকারী সাংবাদিক ঐদিন ২/৩ জন সিনিয়র সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করে তাদের কবল থেকে প্রেসক্লাবকে রক্ষা করার ঘোষনা দেন। সাধারণ সভায় ৫০ জনেরও বেশী উপস্থিত সম্মানী সদস্য সভা সঞ্চাচলনাকারীর নাম সেক্রেটারী হিসাবে না বলায় তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তথাপিও তিনি নিজে কমিটিতে থাকতে না পেরে তার প্রস্তাবে ২/৩ জন সদস্যকে কমিটিতে জায়গা করে দেন। আগামী ১ বছরের জন্য কমিটির সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করবেন বলে দৃড়ভাবে ঘোষনা করার পর থেকে তিনি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রেসক্লাবের কমিটির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত শুরু করেন। তিনি যাদের বিরুদ্ধে সাধারণ সভায় যে ২/৩ জন সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে ছিলেন, তাদেরকে সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। ১৭ মে ২০২৫ সভায় ২৩ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন বলে যে মন্তব্য করেছেন তাহা চরম মিথ্যা। এই দিন সভায় ৮৩ জন সদস্যোর মধ্যে গঠণতন্ত্র অনুযায়ী ৫১ শতাংশের অধিক সাধারণ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে অপসাংবাদিক শব্দ প্রয়োগ করে দু‘একটি কথা বলছেন। স্মরণ রাখা উচিৎ রাষ্টীয় একটি সংস্থার নিকট চাঁদা বাজি অবস্থায় হাতে নাতে প্রেফতার হয়ে মাসের পর মাস জেলখাটা--এটা কি সাংবাদিকতা না অপসাংবাদিকতা জনগনই বিচার করবেন।
অন্যদিকে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরাতো বটেই প্রেসক্লাবের ইট, বালি খোয়াও জানে যে, টেপা ওয়ান নামে একজন সাংবাদিক নামধারী সাধারণ মানুষকে ডেকে এনে অবাশ করতেন-- তার অপর সহযোগী টেপা টু নামে খ্যাত একজন সাংবাদিক তাকে জবাই করতেন। এই বাক্যটি সম্পর্কে সাতক্ষীরার প্রতিটি সেক্টর অবগত আছেন।
প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত নয় মর্মে যে কথা বলা হয়েছে তাতে প্রকারান্তে প্রেসক্লাবের সদস্যদেরকে চরম অবজ্ঞা ও হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, প্রেসক্লাবের সম্মানীত সদস্যদের নিয়ে এধরনের ধৃষ্টতামূলক মন্তব্য করার অধিকার নেই। “সঙ্গে থাকলে সঙ্গী না থাকলে জঙ্গী”। এই দ্বিচারিতা আচরণ থেকে বেরিয়ে আশার জন্য ঐ সমস্ত সদস্যদের বের হয়ে আসার আহবান জানানো হয়। সভায় আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]