ওমর ফারুক বিপ্লব: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়োমের অভিযোগ উঠেছে। টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, এম আর আই পরীক্ষা করতে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো টাকা আদায় করে থাকে রোগীদের কাছ থেকে ভাউচার ছাড়াই । নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না করে লুটপাট করছে। টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে আসছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম কোন ভাউচার ছাড়া টেস্ট করে রিপোর্ট দিচ্ছে। ভুক্তভোগী তালা উপজেলার রেজাউল মোল্লা বলেন, আমার স্ত্রী নাদিরার কোমরে আঘাত পাওয়াই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছি। ডাক্তার আমার স্ত্রীকে দেখে এক্স-রে করতে বলেন,আমি এক্স-রে বিভাগে যেয়ে ডাক্তারের দেখানো টিকিট টা দেখে বলো ৩০০টাকা দেন টাকা দেয়ার পরে এক্স-রে করলো তার পরে বলেন দুই ঘন্টা পরে এসে নিয়ে যাবেন। আমি ওনাকে বললাম আমার ভাউচার দেন উনি বলেন ভাউচার লাগবেনা নাম লিখে রাখছি ভাউচার লাগবেনা।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, এক্স-রের জন্য প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকার বেশি ফি আদায় করেন। সিটি স্ক্যান ব্রেন ২০০০টাকা সরকারি ফি কিন্তু নেয়া হচ্ছে ৩০০০ থেকে ৪০০০টাকা, সিটি স্ক্যান এবডোমেন (ঔষধ ছাড়া) সরকারি ফি ৪০০০ টাকা কিন্তুু নেয়া হচ্ছে ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছে কিন্তু আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জনস্বার্থ বিবেচনা করে এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
হাসপাতালের সংশ্নিষ্ট কর্মচারীরা জানান, এদের বিরুদ্ধে আগে দু-একবার অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। এতে তারা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে তারা এতই ক্ষমতাবান হয়েছে যে, কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এ বিষয় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম বলেন, সিটি স্ক্যান এবং এক্স-রে সরকারি ফি যেটা সেটাই নেয়া হয় আমরা অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়না,ভাউচার ছাড়াই আপনারা টাকা নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন জবাবে বলেন ভাউচার ছাড়া যেগুলো নেয়া হচ্ছে সেগুলো ফ্রি সার্ভিস মুক্তিযুদ্ধা অথবা অসহায় ব্যাক্তি মেডিকেল ডাক্তাদের সুপারিশ নিয়ে আসে সে জন্য ভাউচার দেয়া হয় না।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.শীতল চৌধুরী কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই বিষয়ে আমি অবগত নাই আপনি একটি লিখিত অভিযোগ দেন আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]