ওমর ফারুক বিপ্লব: গ্রামের কন্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় নড়ে চড়ে বসেছেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম দীর্ঘদিন একই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করছে, কিছু কর্মকর্তা কে ম্যানেজ করে। অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে চলে, টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম ঠিকমতো ডিউটি করেনা কিন্তু তাকে বলার মতো কেও নাই কেও কিছু বলেই তাকে হয় মারধর খেতে হয় তা না হলে হয়রানির শিকার হতে হয় এমন একাধিক অভিযোগ আছে টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম মাদকাসক্ত। আব্দুল হালিম মাদক সেবন করে রুগী ও রুগীর আতœীয় স¦জনদের সাথে খারাপ আচারণ করেন এমন একাধিক অভিযোগ আছে টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে। টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিমের ডোপ টেস্ট করলেই বেরিয়ে আসবে আব্দু হালিমের আসল চেহারা। একজন মাদকাসক্ত ব্যাক্তি কিভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মত জায়গায় টেকনোলজিস্টের দায়িত্ব পালন করে আসছে জানতে চাই সচেতন মহল। টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়োমের অভিযোগ রয়েছে। আব্দুল হালিম এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, এম আর আই পরীক্ষা করতে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো টাকা আদায় করে থাকে রোগীদের কাছ থেকে ভাউচার ছাড়াই । নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না করে লুটপাট করছে। টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই লুটপাট করে আসছে।
ভুক্তভুগী রসুলপুর এলাকার অপু এই প্রতিবেদকে জানান,আমার মাথা যন্ত্রণার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেলের ডাক্তার আমাকে সিটি স্ক্যান করতে বলেন আব্দুল হালিমের কাছে যেয়ে সিটি স্ক্যান করলাম উনি ১৫০০ টাকা নিলেন এবং রির্পোট দিয়ে দিলেন আমাকে কোন ভাউচার দেয়নি। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম কোন ভাউচার ছাড়া টেস্ট করে রিপোর্ট দিচ্ছে। ভুক্তভোগী তালা উপজেলার রেজাউল মোল্লা বলেন, আমার স্ত্রী নাদিরার কোমরে আঘাত পাওয়াই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছি। ডাক্তার আমার স্ত্রীকে দেখে এক্স-রে করতে বলেন,আমি এক্স-রে বিভাগে যেয়ে ডাক্তারের দেখানো টিকিট টা দেখে বলো ৩০০টাকা দেন টাকা দেয়ার পরে এক্স-রে করলো তার পরে বলেন দুই ঘন্টা পরে এসে নিয়ে যাবেন। আমি ওনাকে বললাম আমার ভাউচার দেন উনি বলেন ভাউচার লাগবেনা নাম লিখে রাখছি ভাউচার লাগবেনা।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, এক্স-রের জন্য প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকার বেশি ফি আদায় করেন। সিটি স্ক্যান ব্রেন ২০০০টাকা সরকারি ফি কিন্তু নেয়া হচ্ছে ৩০০০ থেকে ৪০০০টাকা, সিটি স্ক্যান এবডোমেন (ঔষধ ছাড়া) সরকারি ফি ৪০০০ টাকা কিন্তুু নেয়া হচ্ছে ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছে কিন্তু আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জনস্বার্থ বিবেচনা করে এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
হাসপাতালের সংশ্নিষ্ট কর্মচারীরা জানান, এদের বিরুদ্ধে আগে দু-একবার অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। এতে তারা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে তারা এতই ক্ষমতাবান হয়েছে যে, কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
মাদক সেবন করে রুগীর স্বজনদের সাথে খারাপ আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট আব্দুল হালিম বলেন, আমি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে থাকাকালিন মাদক আসক্ত ছিলাম ,এখন আমার কোন মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা নেই। রুগীর স্বজনদের সাথে খারাপ আচারণ করি না তবে গরীব অসহায় রুগী আসলে টাকা ছাড়া টেস্ট করি এটাই আমার দোষ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]