ওমর ফারুক বিপ্লব, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্যাথলজী সুব্রতর অনিয়ম শিরোনামে দৈনিক প্রতিদিনের কন্ঠ ও দৈনিক গ্রামের কন্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও বন্ধ হচ্ছে না সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার।
গভীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত দীর্ঘদিন চাকুরী করছে কিছু কর্মকর্তা কে ম্যানেজ কওে, আরো জানা যায় প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত মাদকাসক্ত। সুব্রত মাদক সেবন করে রুগী ও রুগীর আতœীয় স্বজনদের সাথে খারাপ আচারণ করেন এমন একাধিক অভিযোগ আছে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর বিরুদ্ধে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি কিভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মতো জায়গায় প্যাথলজী বিভাগে ইনর্চাজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে জানতে চাই সচেতন মহল।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগে ক্যাশ কাউন্টারের রশিদ ছাড়া পরীক্ষা নিরীক্ষার করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, সেখানে দায়িত্বরত প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর নির্দেশে প্রকাশ্যে এই অনিয়ম করা হচ্ছে। রশিদ ছাড়া প্যাথলজী বিভাগের পরীক্ষার টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে না। আত্মসাৎ করা টাকা পৌঁছে যাচ্ছে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর পকেটে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজী ৩১৪ নাম্বার রুমের সামনে চেয়ার টেবিল বসিয়ে সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার তৈরি করে রাখছে। সেখানে তাদের নিজস্ব প্যাড তৈরি করে রশিদ দিচ্ছে আর টাকা নিচ্ছে।
হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, প্যাথলজী বিভাগের আর্থিক দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে ক্যাশ কাউন্টারের রশিদ ছাড়া কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা নয়, অথচ সেটা এখানে চলছে। ক্যাশ কাউন্টারের রশিদের অর্থ ছাড়া আর কোন টাকা রাজস্ব খাতে জমা করা হয় না। প্যাথলজি বিভাগে সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার তৈরি করে টাকা নিজের পকেটে রাখছে। এতে করে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আরো জানান, সুব্রত ঠিকমতো ডিউটি করেন না বেশির ভাগ সময় তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাইরে থাকে। সুব্রতর বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পাইনা কিছু বলে মারধর খেতে হবে তা না হলে চাকরি হারাতে হবে। সুব্রতর অনুপস্থিতে তার এই অপকর্ম দুর্নীতি দেখভাল করেন সুব্রতর ভাইপো অনিমেষ। এই অনিমেষ মেডিকেলে কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচারণ করে এবং দাপট দেখায় বলে কোন কিছু বললে চাকরী খেয়ে দেব। এছাড়া প্যাথলজী সুব্রতর বিরুদ্ধে বিগতদিনে চাকুরী দেওয়ার নামে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকুরী দিতে না পারায় থানা পুলিশ পর্যন্ত হয়েছে।
ক্যাশ কাউন্টার থাকতেও প্যাথলজী বিভাগের নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার তৈরি করেছেন অনামিষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় আপনি আমার চাচা প্যাথলজীর ইনর্চাজ সুব্রতর সাথে কথা বলেন।
এই বিষয়ে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে পরীক্ষা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হয়না সেইগুলা আমরা বাইরে থেকে করে নিয়ে আসি সেই গুলার টাকা নিচ্ছি এই নিয়ম আমাদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে আপনার হইতো জানা নাই।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডঃ শীতল চৌধুরী কাছে এই বিষয়ে মুঠফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা আপনি এক দুই দিন পরে আসেন তারপরে কথা বলবো বলে ফোনটি কেটে দেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]