সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে ১২ বাংলাদেশীসহ দু’টি নৌকা ও চারটি ভারতীয় গরু আটক
রিভারাইন বিজিবি কৈখালী ক্যাম্পের বিশেষ অভিযানে দু’টি নৌকা, তিন হাজার ১৪০ প্যাকেট পাতার বিড়ি, চারটি ভারতীয় গরু ও এক পাচারকারিসহ ১২জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরার
শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কৈখালি বিজিবি
ক্যাম্পের পার্শ্ববতী পাঁচ নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন,শ্যামনগর উপজেলার সাপখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন(২৪), বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজমত শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩০), আজিমের স্ত্রী মোছাঃ হালিমা (২৫), কেসমতছড়া গ্রামের মৃত মজিদ শেখের স্ত্রী রাশিদা
বেগম (৭০), কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মৃত খানজাহান সিকদারের স্ত্রী তুলি বেগম (৬০), ছেলে এনামুল সিকদার (১৯) ও আলআমিন সিকদার (৩০), আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম (২২)।
এসময় তাদের সাথে থাকা অপর চার শিশুকে পিতা-মাতার সাথে আটক করা হয়। কৈখালি রিভারাইন বিজিবি’র নায়েক সুবেদার কাওছার কাজী
জানান, মঙ্গলবার ভোরে নৌকা পথে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদীর পার্শ্ববর্তী পাঁচ নদীর মোহনা থেকে এক পাচারকারি ও চার শিশুসহ ১২ বাংলাদেশী নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে হাবিলদার এনামুল হকের নেতৃত্বে ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী পাঁচ নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চারটি গরু জব্দ করে কৈখালী রিভারাইন বিজিবি সদস্যরা। এসময় চোরাচালান চক্রের সদস্যরা পালিয়ে গেলে চারটি গরুসহ ২টি নৌকা জব্দ করে মঙ্গলবার দুপুরে বসন্তপুর কাষ্টমসে জমা দেয়া হয়।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, এক পাচারকারিসহ ১২ বাংলাদেশী আটকের ঘটনায় রিভারাইন বিজিবি’র কৈখালি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার কাওছার
গাজী বাদি হয়ে পাসপোর্ট আইনের ১১(সি) ধারায় ও চারটি গরু ও দুটি নৌকা জব্দ করার ঘটনায় কৈখালি রিভারিয়ান বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার এনামুল হক বাদি হয়ে মঙ্গলবার থানায় পাচার আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন। আটক কৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরা আদালতে পাঠানো হয়েছে। জব্দকৃত গরু ও
নৌকা কালিগঞ্জের বসন্তপুর কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)