ওমর ফারুক বিপ্লব: সাতক্ষীরায় আদালতের নিষেধাঞ্জা অমন্য করে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদরে ১ নম্বর ওয়ার্ডের গদাইবিলে এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই পক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুস সালাম সরদার ৯৯৯ লাইনে ফোন করে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দখল চেষ্টাকারীদের হাটিয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনা স্থান থেকে চলে যাওয়ার পর আবারও দখলের চেষ্টা করে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাটিয়া গদাইবিল এলাকার স্থায়ীয় বাসিন্দা মৃতঃ ইনতাজ আলী ছেলে মোঃ আব্দুস সালাম সরদার ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্য হইয়া ১০১ কাটিয়া মৌজারএস.এ ১২০২ খতিয়ানেরএস.এ দাগ ৯৬৬ এবং আর.এস ২৬২৫ নং খতিয়ানে ৭০৮৯, ৭০৯৩ দুই দাগে মোট ১০ শতক জমি শান্তিপূর্ন ভাবে দীর্ঘ যুগধরিয়া ভোগ দখল করিয়া আসিতেছেন।
এলাকাবাসী জানান নিরীহ মোঃ আব্দুস সালাম হত দরিদ্র ও কাটমিস্ত্রী পিতার সম্পত্তি ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া খাজনাদি পরিশোদ করিয়াশান্তিপূর্ন ভাবে ভোগদখল করছে। তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করিতে থাকিলে এলাকার সন্ত্রাসী, বাহিনীর একই এলাকার মৃত মফেজ আলীর পুত্র মন্তাজ আলী ও এর তিন সন্তান আনারুল, আক্তারুল, মনিরুলসহ আর ৪/৫ উক্ত তপশীল সম্পত্তিতে মোঃ আব্দুস সালাম ও তার পরিবারকে চিরতরে নিচিন্থ’ করে জোবর দখলের পায়তারা করিতেছে।
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ও জোবর দখলে আশাঙ্খায় মোঃ আব্দুস সালাম জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরা পি- ১৪৭২/২৩ ধারা ১৪৫ মামলা দায়ের করে। সাতক্ষীরা সদর থানায় স্থিতিবাস্থ বজায় রাখার আদেশ প্রদান করার ও কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির হয়ে উভয় পক্ষকে লিখিত নোটিশ জারী করে।
সন্ত্রাসী মন্তাজ বাহিনীর ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী অত্যাধনিক অস্ত্র সজ্জিত হইয়া উক্ত তপশীল সম্পত্তিতে পাকা স্থাপনা করিবার উদ্দেশ্যে ইট বালি নিয়ে কাজ শুরু করে। এ সময় আব্দুস সালামের পরিবার বাঁধা প্রদান করিলে তাদেও হত্যা,গুম ইত্যাদি হুমকী দিলে প্রাণের ভয়ে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশিরা জানান, বিজ্ঞ আদালতে ও থানায় আদেশ অমান্য করিয়া মন্তাজ বাহিনীর অস্ত্রের সহায়তায় পাকা স্থাপনা কাজ করিতে থাকে। তারাবলে দেশে আইন বলে কিছু নেই। তারা আইনের তোয়াক্কা করেনা।
এলাবাসী আরও জানান মন্তাজ বাহিনী এলাকার হত দরিদ্র ও নিরিহ মানুষের জমি-সম্পত্তি ভূয়া দলিল সৃষ্টি করিয়া নিজের নিজের দখলে নিয়ে ক্যাডারী সন্ত্রাসী বাহিনী সহযোগিতায় অন্য লোকের কাছে বিক্রি করিয়া কোটি কোটি মালিক বনে গেছে। এলাকাবাসী তাদের এই অপকর্মের আশু প্রতিকার চেয়ে প্রসাশনের সুদৃষ্টি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে কাঁটিয়া ফাঁড়ির এ এস আই নজরুলর ইসলাম জানান, আমি গতোকাল ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর কাজ বন্দ করে দিয়েছি। আদালতের মামলা চলছে আমরা এ বিষয়ে দুপক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ করছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]