শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা: সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক দীর্ঘ এক যুগ ধরে সংস্কারহীন পড়ে আছে। এর ফলে জেলার চারটি উপজেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় গর্ত ও খানাখন্দের কারণে যানবাহন নষ্ট হচ্ছে, যা সুন্দরবনে পর্যটক আগমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যস্ত এই সড়কের পিচ উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। যাত্রীদের মাঝপথে নামিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন চালকরা। অনেক যানবাহন বড় গর্তে আটকে যাচ্ছে। ফলে বিকল্প রুটে আশাশুনি হয়ে যাতায়াত করছে অনেক গাড়ি, এতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। চালকরা অভিযোগ করেছেন, এই সড়কে নিয়মিত চলাচল করায় যানবাহনের আয়ু দ্রুত কমে যাচ্ছে এবং যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় আয়ও হ্রাস পেয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় প্রতিদিনই গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। শুধু ইজিবাইক নয়, বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে পরিবহন খাতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি যাত্রী ও চালকদের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছে।
সাংবাদিক এবিএম কাইয়ুম রাজ বলেন- “সাতক্ষীরার আকর্ষণ ‘সড়ক পথে সুন্দরবন’। অথচ সড়কের বেহাল দশার কারণে পর্যটকরা আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়ছে।”
তবে আশার কথা হলো, জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার পাঁচটি প্যাকেজে ভাগ করে এই সড়কের সংস্কার কাজ আগামী অক্টোবরে শুরু করবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, সাতক্ষীরা-শ্যামনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের ৬২ কিলোমিটার সংস্কারে ৫৬৫ কোটি টাকার টেন্ডার অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি টেন্ডার সম্পন্ন এবং একটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্ষা শেষে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]