সাতক্ষীরায় বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খননে অনিয়মের প্রতিবাদসহ টিআরএম চালু বাস্তবায়ন এবং নদীর টেকসই বেড়ীবাধ নির্মান ও উচ্ছেদকৃত ভুমিহীনদের পুনঃবাসনের দাবিতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫ টায় সাতক্ষীরা জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির আয়োজনে থানাঘাটা মোড়স্থ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পথসভা সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক।
জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সেলিমের সঞ্চলনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী শেখ ফারুক হোসেন, সাংবাদিক সেলিম হোসেন, শওকত আলী, দপ্তর সম্পাদক শেখ হাফিজুর রহমান, আল হেলাল বাপ্পী, মহিলা সম্পাদিকা শাহানারা খাতুন রিনা, থানাঘাটা এলাকার সাধারন ব্যবসায়ী ইমাম বারী,শাহিন হোসেন,আছানুর রহমান,হাফেজ ডাক্তার কুতুবউদ্দিন, মোঃ লোকমান হাকিম,সবের আলি, বিপ্লব হোসেন, নাজমুন হোসেন, সালাম, গোলাম মোস্তফা, গোলাম বারী, জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রেজাউল ইসলাম বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম, ভুমিহীন নেতা শেখ রিয়াজুল ইসলাম, নাজমা আক্তার নদী, নাজমা খাতুন প্রমুখ।
জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তারা বলেন, বেতনা মরিচচাপ খননের জন্য বাজেট সঠিকভাবে খননের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কিন না তার জন্য সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং কার্যক্রম সমন্বয় ও গতিশীল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বয়ে একটি ফোরাম গঠন করতে হবে। যে কোন ধরনের বিপর্যয় এড়ানোর জন্য নির্ধারিত সময়ে বেতনা, মরিচচাপ খনন ও পার্শ্ব খালের সাথে সংযোগ টি আর এম, বাস্তবায়ন টেকসই বেড়িবাঁধ অসহায় ভূমিহীনদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। মুজুমদার খালে কুচুরিপনা ও ময়লা আবর্জনা ভরে গেছে। তাই মুজুমদার খাল দ্রুত খনন বাস্তবায়ন করতে হবে। সাতক্ষীরাবাসি জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক নদী খননে ৪৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আর এখানকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃকপক্ষদের যোগসাজে ঠিকাদাররা নদী খননে গভীরতা না করে বেড়িবাঁধ উচু করে নদী খননে কাজ যেনতেন করে দায়সারের চেষ্টা করছেন ঠিকাদাররা। নদী খননের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগসাজে সরকারের অনুকূলে বরাদ্দ প্রকল্প টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদাররা।
নদীর গভীরতা সহ বেড়িবাঁধ টেকসই করতে হবে। টি আর এম বাস্তবায়ন না হলে সরকার বেতনা ও মরিচচাপ খনন করার পর কোন আশার আলোর মুখ দেখবে না। অববাহিকার মানুষ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। বক্তারা আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষার সাথে বেতনার ধার দিয়ে অবৈধ ইটভাটা হয়েছে। ইটভাটা স্থাপনের পাশে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কৃষি গবেষণায় অফিস, কারিগর প্রশিক্ষন কেন্দ্র (টিসিসি), কৃষি গবেষণা পরমানু অফিস। তাই ১০০ গজ দুরে ইটভাটা করতে হবে। বসতি এলাকায় ইটভাটা করা যাবে না। বসতি এলাকায় স্থাপন ইটভাটা অবিলম্বে অপসারন করতে হবে। উচ্ছেদকৃত ভুমিহীনদের পুনঃবাসন করতে হবে।
সাধারন মানুষের দাবী গুরুত্ব প্রদানে সক্রিয় জন অংশগ্রহন সহ টি আর এম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পলি ব্যবস্থাপনা হলে বেতনা মরিচচাপের পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।
অত্র এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধান হবে। কৃষি মৎস্যসহ এলাকার জীব বৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। ভূ- গর্ভস্থ পানি স্থির ও বৃদ্ধি পাবে ফলে মানুষের জীবন জীবিকার পরিবেশ ফিরে আসার মাধ্যমে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে ব্যক্ত করেন।
বক্তারা আরো বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারের কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ ব্যায়ে রাস্তার নির্মাণের কাজ হচ্ছে। আর রাস্তা নির্মান কাজের নামে এলজিইডি অফিসের সাথে যোগসাজে ঠিকাদাররা আমা ইট দিয়ে যেমন তেমন করে রাস্তা নির্মান করে সরকারের প্রকল্প টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে রাস্তার প্রকল্প সিডিউল অনুযায়ী সঠিকভাবে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। তাই না হলে এলজিইডি অফিসের বিরুদ্ধে আমরা কিন্ত রাস্তায় এই ভাবে আন্দোলন করতে বাধ্য থাকবো।
তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে টিআরএম পদ্ধতি চালু বাস্তবায়ন ও টেকসই বেড়িবাঁধসহ উচ্ছেদকৃত ভুমিহীনদের পুনঃবাসনের দাবি জানান পথসভার সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]